ইজতেমা এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপনের পাশাপাশি সদর দপ্তরে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকেও সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Published : 31 Jan 2024, 02:25 PM
বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “এই ইজতেমায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লোকজনদের আগমন ঘটে। এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি; ইজতেমা স্থলসহ আশেপাশের এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।”
এছাড়া ইজতেমা এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপনের পাশাপাশি সদর দপ্তরে ‘সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম’ থেকেও সেখানকার সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইজতেমায় আসা লোকজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র্যাবের স্পেশাল টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইজতেমা এলাকার আশপাশে উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকাসক্ত, ছিনতাই, পকেটমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইজতেমায় আগত বিদেশিদের বিমানবন্দরে হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত বছর টানা-হেঁচড়া হয়েছে, এটা অন্তত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। এবার এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। বিদেশি খিত্তায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নজরদারি রাখা হয়েছে।”
ইজতেমামুখি গাড়ি ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে বলেও র্যাব মহাপরিচালক জানান।
তিনি বলেন, ইজতেমা এলাকায় র্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া এবার র্যাবের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া আখেরি মোনাজাতের দিন যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয় তার জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
টঙ্গীতে তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সম্মিলনের এ আয়োজন আগের বারের মতোই হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি; দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন:
ইজতেমা: গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে পুলিশের নির্দেশনা
ইজতেমায় কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: র্যাব
ইজতেমা: শামিয়ানা অসম্পূর্ণ, আগতদের চট নিয়ে আসার পরামর্শ
এবার ইজতেমায় হকার বসতে পারবে না: পুলিশ
টঙ্গীতে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি, প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ
ইজতেমায় চলবে ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন