“প্রতিবছর এখানে ১৫ থেকে ২০ লাখ লোকের সমাগম হয়ে থাকে। এবারও সেরকম সমাগম হবে বলে আশা করছি।”
Published : 30 Jan 2024, 07:24 PM
এবারের বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ বলেন, “ইজতেমার দুই পক্ষের মধ্যে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য তাদেরকে বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও আশস্ত করেছে বিগত বছরগুলোতে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, এবার তা ঘটনা ঘটবে না।”
মঙ্গলবার বিকালে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরাও আশা করছি, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এবার ঘটবে না। ইজতেমাকে নিয়ে আমাদের কাছে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই।”
এর আগে ইজতেমার আগত বিদেশিরা মাঠে পৌঁছার আগে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ র্যাবের একটি শক্তিশালী বোম্ব ডিসপোজাল দল নিয়ে ইজতেমা মাঠের বিদেশি খিত্তাগুলো পরীক্ষা করেন।
তিনি মাঠের বিষয়ে প্রথম পর্বে ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন তথ্য নেন। এ সময় তার সঙ্গে র্যাব-১ এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক বলেন, “বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এখানে ১৫ থেকে ২০ লাখ লোকের সমাগম হয়ে থাকে। এবারও সে রকম সমাগম হবে বলে আশা করছি। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
“সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুরো ইজতেমা মাঠকে প্রথমে দুইটি সেক্টরে বিভক্ত করেছি। আমাদের পরিকল্পনাগুলোকে সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি সেক্টরকে আবার সাব-সেক্টরে ভাগ করেছি।”
ইজতেমা: শামিয়ানা অসম্পূর্ণ, আগতদের চট নিয়ে আসার পরামর্শ
তিনি বলেন, “ইজতেমা এলাকায় ছিনতাই, পকেটমারের মত কাজগুলো যাতে না হয় তার জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের অভিযানগুলো আরও জোরদার করা হবে।”
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “এ ছাড়া আমাদের অবজার্ভেশন ফোর্স, মোটরসাইকেল টহল ও পিকআপ টহল থাকবে। স্ট্রাইকিং রিজার্ভ হিসেবে র্যাব এখানে কাজ করবে। তাছাড়া ইজতেমাস্থলে উপর থেকে টহল কাজ জোরদার করার জন্য আমাদের হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে। পাশের তুরাগ নদে পেট্রোল কার্যক্রম নিশ্চিত করতে র্যাবের স্পিডবোট নিয়োজিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইজতেমা মাঠের আগত লোকজনদের নিরাপত্তার জন্য কোনো ঝুঁকি নেই। যখন যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার হবে, আমরা তৎক্ষণাৎ সেই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
মুশতাক বলেন, “ইজতেমা শুরু হতে আরও দুইদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আমরা সুইপিং করে নিশ্চিত হচ্ছি ইজতেমায় আগতদের সুন্দরভাবে মাঠে ধর্ম-কর্ম পরিচালনা করতে পারবেন। আমরা রুটিন কাজের অংশ হিসেবেই আমাদের যে স্পেশাল ইকুইপমেন্ট ও স্পেশাল রিসোর্স আছে সেটাকে আমরা ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজে লাগাচ্ছি।”
তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সম্মিলনের এ আয়োজন আগেরবারের মতই হবে দুই পর্বে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ তীরে প্রথম পর্বে ইজতেমা হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি; দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন:
এবার ইজতেমায় হকার বসতে পারবে না: পুলিশ
টঙ্গীতে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি, প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ
ইজতেমায় চলবে ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন