কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা ও সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
আপাতত চট্টগ্রামগামী লাইন (ডাউন লাইন) দিয়ে দুই দিকের ট্রেন চলাচল করছে। যে লাইনে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই ঢাকামুখী লাইন (আপ লাইন) ঠিক হতে দুয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, বিজয় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কয়েকটি বগি সরিয়ে নেওয়ার পর সোমবার ভোর ৪টার দিকে ডাউন লাইনকে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, “বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর আপ লাইন একেবারে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। বগিগুলোর বেশিরভাগ ডাউন লাইনে ছিটকে পড়েছিল। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত চেষ্টার পর ডাউন লাইনের ওপর পড়া বগিগুলো লাইন থেকে সরানো হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।”
রোববার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশন সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় বিজয় এক্সপ্রেসের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তাতে আহত হন অন্তত ৩০ জন; ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন।
লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে-ছটিয়ে পড়ে। ডাবল লাইনের দুটিই আটকে যাওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে দুই দিকের বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে অন্তত ১০টি ট্রেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে কয়েক হাজার যাত্রীকে চরম দুর্ভোগের পড়তে হয়।
এরপর সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে একটি এবং চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ভোরে লাইন চালু হওয়ার পর চট্টগ্রামে আটকে থাকা ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়। চট্টগ্রামগামী যেসব ট্রেন লাকসামে আটকে ছিল, সেগুলোও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিজয় এক্সপ্রেস খুব বাজেভাবে লাইনচ্যুত হয়েছে। পুরোপুরি উদ্ধার কাজ শেষ হতে দুয়েকদিন লাগতে পারে। আপাতত ডাউন লাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এখন দুই লাইনের ট্রেনই ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল করবে। আপ লাইন নতুন করে তৈরি করা লাগতে পারে। কবে নাগাদ তা ঠিক করা যাবে তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।”
পুরনো খবর