নয়া পল্টনে সংঘর্ষ, নিহত ১

নিহত ওই যুবকের শরীরে ‘ছররা গুলির চিহ্ন’ রয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2022, 10:53 AM
Updated : 7 Dec 2022, 10:53 AM

ঢাকার নয়া পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে আহত একজন হাসপাতালে মারা গেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নয়াপল্টন এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তদের মধ্যে মকবুল নামে ৩২ বছর বয়সী একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

নিহত ওই যুবকের শরীরে ‘ছররা গুলির চিহ্ন’ রয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু।

নয়া পল্টনের ঘটনায় আহত রনি , মনির ও ইকবাল নামে আরও তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেনি পুলিশ।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।

বিকালে তারা যখন বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন,তার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পুলিশ ধাওয়া দিলে বিএনপি কর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোয়াট সদস্যদেরও দেখা যায় সেখানে।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে নয়া পল্টন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পুলিশের ধাওয়ায় বিএনপিকর্মীরা বিভিন্ন গলিতে গিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশ গলিতে ঢুকেও তাদের ধাওয়া দেয়।

বিএনপি অফিসে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। টিয়ার গ্যাসে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেক কর্মীকে আহত অবস্থায় আটক করে নিয়ে গেছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “পার্টি অফিসের ভেতরে হাজার দুয়েক নেতাকর্মী আটকা পড়েছে, তাদের মধ্যে আহত অনেকে আছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে বের হতে দিচ্ছে না।”

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, “১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি কিন্তু আজ নয়া পল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। পরে তাদেরকে উঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা। পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।”