খাদ্যতালিকায় বেশি রাখতে হবে উদ্ভিজ্জ খাবার।
Published : 13 Feb 2025, 01:35 PM
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়।
যেমন- মাংস কম আর সবজি, ফল এবং পূর্ণ শষ্য বেশি খাওয়া।
এই তথ্য জানিয়ে হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও চারটি পন্থা উল্লেখ করা হয়, যেগুলোর মাধ্যমে কোলেস্টেরল কম রাখা সম্ভব।
আনস্যাচুরেইটেড চর্বি গ্রহণ; স্যাচুরেইটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট এড়ানো
বেশিরভাগ উদ্ভিজ্জ চর্বি বা তেলে স্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাট বা চর্বি থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। এসব স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যাবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, বীজ এবং কিছু সবজি থেকে।
পাশাপাশি উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেইটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাংস, ভাজাপোড়া খাবার ও দুগ্ধজাত পণ্য এড়াতে হবে।
দ্রবণীয় আঁশ বেশি গ্রহণ করা
ওটস ও ফলে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। এটা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই এই ধরনের খাবার বেশি খাওয়া উপকারী।
উদ্ভিজ্জ স্টেরলস এবং স্ট্যানোলস খাদ্যতালিকায় রাখা
এই উদ্ভিজ্জ যৌগগুলোর গঠন কোলেস্টেরলের মতো। যে কারণে এগুলো, অন্যান্য উৎস থেকে আসা কোলেস্টেরল দেহে গ্রহণ করার পরিমাণ কমায়।
এই উপাদানগুলো পাওয়া যাবে এমন কয়েকটি খাবার হল- তিলের তেল, অলিভ অয়েল। কুমড়া, সূর্যমুখির বীজ এবং তিল ও তিশির বীজ। বাদামের মধ্যে আছে- পেস্তা, কাঠবাদাম ও কাজু-বাদাম। নানান পূর্ণ শষ্য – গম, যব, বার্লি, লাল চাল, ওটস। সবজির মধ্যে আছে- ব্রকলি ও ফুলকাপি।
কোন খাদ্যাভ্যাস কাজ করে সেটা খুঁজে বের করা
পরিচিত কারও খাদ্যাভ্যাসে কোলেস্টেরলের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। সেটা জেনে, সেই খাদ্যতালিকা নিজে অনুসরণ করে, কয়েক মাস পরে দেখা গেল, উপকার মিলছে না। তখন নিজের বংশগতি ও শারীরিক পার্থক্য সম্পর্কে হয়ত নতুন ছক কাটার প্রয়োজন হতে পারে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা নেই। তাই কোন ধরনের খাদ্যাভ্যাস বেশি উপকারে আসবে সেটা নিজেই খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদের সাহায্য নেওয়া হবে কার্যকর পন্থা।
পাশাপাশি যদি ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে সেটাও চালিতে যেতে হবে।
আরও পড়ুন
যেভাবে বোঝা যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি