আগামী বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে।
Published : 18 Apr 2025, 01:09 PM
ইউক্রেইন সরকার তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে খনিজ সম্পদ চুক্তির একটি রূপরেখা স্বাক্ষরের কথা জানিয়েছে।
দেশটির অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিডিয়ানকা বলেছেন, এই সমঝোতা স্মারক অর্থনৈতিক অংশীদার চুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে।
তিনি বলেন, চূড়ান্ত চুক্তিতে ইউক্রেইন পুনর্গঠনের জন্য একটি বিনিয়োগ তহবিলের বিষয় থাকবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন, চলতি সপ্তাহ নাগাদ একটি চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে।
গেল ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য চেঁচামেচির পর ওই চুক্তি নিয়ে আলোচনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছিল।
সিরিডিয়ানকা এক্স পোস্টে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা জানালেও বিস্তারিত কিছু বলেননি। ওই পোস্টে তার ও মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের আলাদাভাবে স্বাক্ষর করার ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিরিডিয়ানকা লিখেছেন, “আমাদের আমেরিকান অংশীদারদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা খুশি। এই সমঝোতা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি এবং ইউক্রেইন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।”
বিবিসি লিখেছে, বেসেন্টের সঙ্গে একটি অনলাইন কলের মাধ্যমে ওই স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়। বেসেন্ট বলছেন, চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে এখনও কাজ চলছে।
তিনি বলেছেন, “এটি (সমঝোতাটি) মূলত আমাদের আগে ঐকমত্য হওয়া বিষয় নিয়ে। প্রেসিডেন্ট (ভলোদিমির জেলেনস্কি) যখন এখানে ছিলেন, তখন আমাদের একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছিল।
“আমরা সরাসরি মূল চুক্তির দিকেই এগিয়ে গিয়েছি এবং আমার মনে হয় এটা ৮০ পৃষ্ঠার চুক্তি হবে- আর সেটাই আমরা স্বাক্ষর করব।”
ইতালির প্রেসিডেন্ট জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ডনাল্ড ট্রাম্পও এই চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খনিজ সম্পদ চুক্তি রয়েছে, যা বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার। শিগগির। আর আমি ধরে নিচ্ছি, তারা চুক্তির শর্তগুলো মানবে। তো দেখা যাক কী হয়। তবে এই বিষয়ে আমাদের একটি সমঝোতা হয়েছে।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির সময় ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার অনুরোধে সাড়া দেয়নি হোয়াইট হাউস।
বিবিসি লিখেছে, এই পদক্ষেপ এমন এক চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া, যার ফলে ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ, তেল ও গ্যাসে প্রবেশাধিকার পাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে বিভিন্ন খবরে ইউক্রেইন পুনর্গঠনে একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ওই তহবিল ‘সমান শর্তে’ কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের পরিচালনা করার কথা।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশা করছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রশ্নে এই চুক্তি ব্যবহার করা হবে, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
তবে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাগযুদ্ধে এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।