জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে

এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস কমার তথ্য দিল বিবিএস; তবে সবশেষ মাসে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির চাপ ছিল বেশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2023, 03:08 PM
Updated : 6 Feb 2023, 03:08 PM

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিয়েছে বিবিএস।

ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর গত অগাস্টে এক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতির পারদ চড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ হয়েছিল। ওই মাসের পর থেকে মূল্যস্ফীতির হার কমতে দেখা যায়।

সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অনলাইনে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি কমে আসার এ প্রবণতার মধ্যেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট (গত বছরের একই মাসের তুলনায়) ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির এ হার অনেকটাই বেশি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

অর্থাৎ, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, সেই একই পণ্য বা সেবার জন্য এ বছরের জানুয়ারিতে তার খরচ হয়েছে ১০৮ টাকা ৫৭ পয়সা।

এ বিষয়ে বিবিএস এর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত মাসে (জানুয়ারি) খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত দুই উপখাতেই আগের মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। এরফলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমেছে।

Also Read: গত বছর মূল্যস্ফীতিতে বেশি ভুগেছে শহরের মানুষ: ক্যাব

Also Read: নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ‘আরও একটু’ কমেছে

আরেক কর্মকর্তা জানান, জানুয়ারিতে শীতকালীন সবজি ও মাছ-তরকারির দর আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে সেই তুলনায় খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের মূল্যস্ফীতি কমেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে এখনও আমদানি পণ্যের দাম চড়া থাকায় দেশে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেশি দেখা গেছে।

জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, ওই মাসে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এসময়ে খাদ্য উপখাতে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১২ শতাংশ।

আর জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। খাদ্য উপখাতে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলে ওই বছর অগাস্টে দেশে এক দশকের রেকর্ড ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায় মূল্যস্ফীতির হার। এরপর থেকে ক্রমেই কমে আসছে মূল্যস্ফীতির পারদ।

বিবিএসের হিসাবে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা ৯ শতাংশের বেশি থাকলেও নভেম্বরে তা আরও নিম্নমুখী হয়ে ৯ শতাংশের নিচে নামে এবং ডিসেম্বরে আরও কিছুটা কমেছিল।