মাত্র সাত মাস আগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ঘর-জাল সব খুইয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর আকমল আলী ঘাট এলাকার জেলেরা। এবার তাই আগেভাগেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসন ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা সতর্কতামূলক প্রচার চালাতে গিয়ে এমন চিত্রই দেখতে পেয়েছেন।
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কাট্টলী রাণী রাসমনি ঘাট ও আকমল আলী ঘাট এলাকায় সাগর তীরে কয়েকশ জেলে পরিবারের বসবাস।
গত অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে আকমল আলী ঘাট এলাকায় বেড়িবাঁধের নিচে সাগর তীরের খোলা অংশে থাকা প্রায় দুই শতাধিক ঘর জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তলিয়ে যায় জাল, ভেঙে যায় মাছ ধরার নৌকা।
শুক্রবার ওই এলাকায় যাওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার হুছাইন মুহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ আমরা এই এলাকাগুলোতে গিয়েছি ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই নিরাপদ স্থানে তাদের ও তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে সচেতন করতে।
“এবার একটা জিনিস খুব ভালো দেখলাম। আগেরবারের চেয়ে তারা অনেক সচেতন। জাল, ব্যবহারের জিনিসপত্র ও টিভিসহ যেসব দামি পণ্য আছে, সেগুলো তারা ইতিমধ্যে সরাতে শুরু করেছে।”
হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, “এখনও সেখানকার বাসিন্দাদের আমরা সরিয়ে নিতে শুরু করিনি। কাল আবার যাব। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাসিন্দাদের সরানো হবে। রানী রাসমনি ঘাট, আকমল আলী ঘাট এবং পতেঙ্গা সী বিচ এলাকা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস।”
শুক্রবার রেড ক্রিসেন্ট, মমতা, সিপিপি ও ইপসার প্রতিনিধিরা মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের সচেতন করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ বলেন, “প্রয়োজনে সেখানকার বাসিন্দাদের সরাতে আমরা হার্ড লাইনে যাব।”
নগরীর পতেঙ্গা-কাট্টলী এলাকার পাশাপাশি শুক্রবার জেলার উপকূলীয় উপজেলা সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়।
আর নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় চট্টগ্রামে হটলাইন চালু করেছে একাধিক সংস্থা। তার মধ্যে আছে- জেলা প্রশাসন ০২৩৩৩৩-৫৭৫৪৫ ও ০১৮৮২৭১১৫৬১, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ০২-৪১৩৬০২৭১ ও ০১৮৯৪৮৮৩০০২, ইপসা (এনজিও) ০১৮১৯৩২১৪৩২, সিপিপি ০২৩৩৩৩৭৯০৪১ ও ০১৭১২০২৬৩০৪।
আরও পড়ুন: