চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা এবং খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে, ভারি যন্ত্রপাতি নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
Published : 26 May 2024, 12:52 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব সর্তকতা সংকেত অ্যালার্ট-৪ জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবহাওয়া অফিস ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর বন্দরের সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে।
“সতর্কতার অংশ হিসেবে জেটিতে থাকা ১৩টি জাহাজকে ইতোমধ্যে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে, সেগুলোও চলে যাচ্ছে।”
বন্দর সচিব জানান, জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা এবং খালাস বন্ধ। ভারি যন্ত্রপাতি নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি সভায় বসছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের নেওয়া ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা অ্যালার্ট-১ জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। বিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হলে তখনই বন্দরের জেটিতে সব অর্ধসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি জেটি থেকে জাহাজ সরাতে বলা হয়। কিন্তু রাতে জোয়ার না থাকায় রোববার সকালে জেটি থেকে জাহাজ সাগরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।