ঢাকার যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মুশফিক তাজুন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তার সহপাঠী ও এলাকাবাসী।
রোববার দুপুরে দনিয়া এলাকায় এ দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেন তারা। এতে অংশ নিয়ে তার পিতা মো. মোশাররফও ছেলে হত্যার বিচার চান।
একমাত্র ছেলে মুশফিক তাজুনের (১৭) মত্যুর খবরে কাতার থেকে ছুটে আসেন তারা পিতা।
এ ঘটনায় তাজুনের ভগ্নিপতি আশিকুর রহমান ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে শফিক ওরফে হাতভাঙা শফিকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আশিকুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১০ এপ্রিল বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তাজুন। এসময় কোথা থেকে যে দুই গ্রুপের মারামারির মাঝে পড়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন তাজুন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ১১ এপ্রিল কাতার থেকে দেশে ছুটে আসেন তার বাবা মোশাররফ। তার মা পপি বেগম এখনও বাকশূন্য।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে চলা দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তাজুন দুই গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও সেদিন বিকালে জুনিয়রদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চারজন তাদের দোষ স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
তাজুনের ভগ্নিপতি আশিকুর বলেন, এ কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাজুন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে কোনো গ্রুপেই ছিল না। ওই দিন বিকালে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা একজনকে মারতে ছিল তাজুন বাধা দিতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
তাজুনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে।