প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে রোববার সন্ধ্যা বা রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে রেমাল।
Published : 26 May 2024, 02:42 AM
ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল; ঝুঁকিতে থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
আবহাওয়া অফিস বন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় স্বেচ্ছাসেবাীরা দুটো লাল পতাকা নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। হ্যান্ড মাইকে তারা মানুষকে সতর্ক করছেন, নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলো গুছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে শনিবার দিনের বেলা থেকেই। ভারি বর্ষণে ভূমি ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকেও বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত তিন দিন ধরে সাগরে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকা ঘূর্ণিবায়ুর চক্রটি শনিবার সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রেমাল।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত নামিয়ে তার বদলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আরো শক্তিশালী হয়ে রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে এবং রোববার সন্ধ্যা বা রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সাগরে ঝড়ের আভাস থাকায় শনিবার দুপুরেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা বসে। উপকূলীয় ছয় জেলায় বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ আসে সেখান থেকে। বিকালের দিকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর রাতে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় কক্সবাজার ও কলকাতা রুটের বিমানের ফ্লাইট।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সতর্কতার নিয়মে অ্যালার্ট-৩ জারি করে জেটির সব অর্ধসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে নতুন করে পণ্য ওঠা–নামা বা খালাসের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের জেটি থেকে রোববার সকালে সব জাহাজকে পাঠানো হবে সাগরে।
সাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামসহ অনেকে এলাকায় দিনের বেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যার পর আরও অনেক জেলা থেকে বৃষ্টির খবর এসেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে এমন খবরে উপকূলজুড়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করার সরকারি পদক্ষেপের মধ্যে কোথাও কোথাও বাঁধ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কার খবর এসেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও এসেছে পরিবর্তন। কয়েকদিন থেকে চলা তাপপ্রবাহ কমে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস এসেছে।
ঘূর্ণিঝড় ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে
গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে।
শনিবার মধ্যরাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারাদেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪ থেকে ৪৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
বিপদ সংকেত মানে কী
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হল-বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার ঝঞ্চাবহুল এক সামূদ্রিক ঘূণিঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডানদিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের সঙ্গে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পার্থক্য শুধু-ঝড়টি বন্দরের উপর দিয়ে বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশের সংকেত ব্যবস্থায় মাত্রার দিক দিয়ে ৬ ও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত একই অর্থ বহন করে। বন্দরের কোন দিক দিয়ে ঝড় বয়ে যাবে, তা বোঝাতে নম্বরের পার্থক্য করা হয়।
আঘাত হানবে কখন, কোথায়?
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং ভারতের কলকাতার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে এ ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করবে৷ রোববার সকালে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে৷ দুপুরের পর এটি আঘাত হানতে পারে।”
আর ভারতের আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে হতে আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সকালের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। বর্তমান গতিপথ অব্যাহত থাকলে রোববার মধ্যরাতের দিকে প্রবাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩৫ কিলেমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
এর সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাস থাকবে। খুলনা ও সুন্দরবন থেকে শুরু চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপকূলীয় সব জেলায় ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় বিশেষ প্রস্তুতি শুরু
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি দেশের অন্যান্য উপকূলীয় জেলাতেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।
এদিন দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”
রোববার মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বরগুনা: নির্দেশনা অনুযায়ী বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে তিন লক্ষাধিক মানুষের নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের ৪২টি মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্সের ছয়টি টিমসহ ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
ভোলা: রেমাল মোকাবেলায় ভোলায় উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রচার চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড। শনিবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যদের মাইকিং করতে দেখা গেছে।
বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে দুই লাখ ছয় হাজার মানুষ।
পটুয়াখালী: সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টারে তিন লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে সেখানে ৮৭ হাজার ৮৩৫টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
খুলনা: দক্ষিণেরে এ জেলায় রেমাল মোকাবিলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সেখানে ৫৬০টি গবাদি পশুও রাখা যাবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার: নতুন এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সেখানে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ জন সিপিপি কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পিরোজপুর: পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র। যার মধ্যে ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করাসহ নদীর তীরবর্তী মানুষদের সতর্কতা বার্তাও প্রচার শুরু করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
রেমাল মোকাবেলার কাজ সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং সেল খুলেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া সংস্থাটির খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এসব বিভাগের খোলা হয়েছে বিভাগীয় মনিটরিং সেল।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনসাধারণকে সচেতন, সতর্ক ও সাবধান করছে সেই সমস্ত এলাকার ফায়ার স্টেশনগুলোর কর্মীরা। শনিবার দুপুরের পর থেকে সচেতনতা সৃষ্টির এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-পূর্ব, ঘূর্ণিঝড় সময়কালীন এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সকল কাজ সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দপ্তর ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।
এতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন উপকূলীয় এলাকার সকল ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছেন। প্রতি ফায়ার স্টেশনে ফায়ারফাইটিং টিম, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। তাদের সাথে সহযোগিতা করবেন ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা। এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের সেবা নেওয়া যাবে।
সকল আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রয়োজনে উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতেও সাধারণ জনগণ আশ্রয় নিতে পারবেন।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ অথবা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল-এর জরুরি মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ ফোন করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরো পড়ুন...
সাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, বন্দরে বিপৎসংকেত
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬ জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতির নির্দেশ
উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সদরঘাট থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ
রেমাল: বিমানের কক্সবাজার ও কলকাতার ফ্লাইট বাতিল
ঘূর্ণিঝড়ে খুলনায় উপকূলের বাঁধ নিয়ে শঙ্কা
বাগেরহাটে উপকূলে ফিরছে জেলেরা, বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে
চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩: অর্ধসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ