রোববার দুপুরের পর স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
Published : 25 May 2024, 11:33 PM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ঢাকার সদরঘাট থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এ তথ্য জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ রাত ১০টা থেকে ঢাকা নদীবন্দর হতে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সকল লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।"
বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ আরো ঘনীভূত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তা ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর রাত ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং ভারতের কলকাতা দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে৷ রোববার সকালে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে৷ দুপুরের পর এটি আঘাত হানতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাত ৮টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সারাদেশে দমকা বা বড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।