কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা শেষে এই নির্দেশ দিয়েছে।
Published : 25 May 2024, 09:23 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা থেকে কক্সবাজার পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এ টি এম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো যেন সাধারণ মানুষকে আশ্রয়দানে প্রয়োজন মোতাবেক সহযোগিতা দেয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগকালে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার ও খিঁচুড়ির ব্যবস্থা নিতেও সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
জেলা সিপিপি কার্যালয়, জেলা ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রস্তুতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় সাতটি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২ হাজার ২০০ জন সিপিপি কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।
জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, জেলা প্রশাসনের কাছে জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য ৪৮৬ মেট্টিকটন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ২৩ বান্ডিল ঢেউ টিন, গৃহনির্মাণের মজুরির জন্য ৬৯ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে। তবে কোনো ধরনের শুকনো খাবারের মজুদ নেই।