চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে রোববার সকালে জাহাজ সরিয়ে পাঠানো হবে সাগরে।
Published : 26 May 2024, 12:59 AM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সতর্কতার নিয়মে অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে।
এর অংশ হিসেবে শনিবার রাতে জেটির সব অর্ধসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে আর কোনো পণ্য ওঠা–নামা বা খালাসের কাজ হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক রাত ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অ্যালার্ট-৩ অনুসারে জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে সাগরে পাঠাতে হবে।
“কিন্তু এখন জোয়ার না থাকায় রোববার সকাল ১০টায় জোয়ার শুরু হলে তখন জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে পাঠানো হবে।"
• বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত 'ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা' অনুসারে, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা অ্যালার্ট-১ জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
• আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। বিপদ সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য বন্দরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়।
• আর আবহাওয়া অফিস ৮, ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দিলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরের পণ্য ও কনটেইনার ওঠানামার কাজে ব্যবহৃত ক্রেনগুলো নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
তাছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা এবং জরুরি মেডিকেল প্রস্তুতিও নিয়েছে বন্দর। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি বিষয়ে বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা রোববার বেলা ১১টায় জরুরি বৈঠকে বসবেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আরো ঘনীভূত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় ‘রেমাল’।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং ভারতের কলকাতার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে এ ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করবে৷ রোববার সকালে এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হবে৷ দুপুরের পর এটি আঘাত হানতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সারাদেশে দমকা বা বড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে।