আজকের এই লেখায় আপনারদের কাছে তুলে ধরবো বেশকিছু মৌলিক বিষয়। আপনাদের মনে ঘুরপাক খাওয়া অনেক প্রশ্নের সমাধান সহজে পেয়ে যেতে পারেন।
Published : 19 Oct 2017, 01:29 PM
একাডেমিক ফলাফল
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে একদল চেষ্টা করে ভালো ফলাফল করতে, আরেকদল চেষ্টা করে মধ্যমসারির ফল করার। তবে ইদানিং প্রথম বর্ষ থেকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার লড়াইও দেখা যাচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের চেয়ে বেশি সময় চলে যায় সাধারণ জ্ঞান ও নিম্ন ও মাধ্যমিক শ্রেণির বই পড়তে। তাই ফলাফল নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা থাকে না।
বিসিএসের দীর্ঘসূত্রিতা অনেকের ধৈর্যের অবনমন ঘটায় কিংবা স্নাতক শেষে চলে আসে হতাশা। ফলশ্রুতিতে দিনেশেষে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় অনেকে। না হয় ভালো ফল, না হয় বিসিসের স্বপ্নপূরণ। তাই এই দ্বৈত চিন্তায় জীবনের মূল্যবান সময় হয়ে উঠে বিষাদময়।
নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, কেন বিসিএস ক্যাডার হতে চাচ্ছেন? হয়তো বলবেন, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানীত পেশা, চাকরিতে রয়েছে শতভাগ নিরাপত্তা। আর সম্ভবত আপনি কিছুটা ফাঁকি দিতে ভালবাসেন। তাহলে আপনি এ লেখা পড়বেন না। আমি লিখছি তাদের জন্য যারা জীবনটাকে দেখতে, জানতে, প্রস্ফূটিত করতে চায় বিশ্ব দরবারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল কখনও স্কলারশিপ পাওয়ার মানদণ্ড নয়। অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের কাছে আপনার উপস্থাপনা ও ইংরেজিতে পারদর্শীতা আপনার অন্যতম বড় মানদণ্ড। সেই সাথে যে বিষয়ে আপনি বাইরে পড়াশোনার জন্য আসতে চাচ্ছেন, সেই বিষয়ের মৌলিক জ্ঞান কতোটুকু আপনার নিয়ন্ত্রণে, তার উপর নির্ভর করে।
একথা সত্য যে বিশ্বের প্রথম সারির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্কুলে ভর্তি করাতে একটি নির্দিষ্ট সিজিপিএ জুড়ে দেয়, তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। আপনার যদি ফলাফল খারাপ হয়, তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এড়িয়ে চলুন। আপনার জন্য অনেক পথ খোলা রয়েছে। অনেক দেশ রয়েছে আপনাকে সাদরে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। তাদেরকে খোঁজ করুন। আপনি যদি লেগে থাকেন, অবশ্যই স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে পারবেন।
আর যারা সিজিপিএ তিন নিয়ে আছেন কিংবা তার চেয়ে বেশি, তাদের জন্য তো বৃত্তি পাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না বলেই আমি মনে করি। মনে রাখবেন, দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গু্লো বাংলাদেশের সিজিপিএ’কে তেমন গুরুত্ব দেয় না। ওরা গুরুত্ব দেয় আপনি কতোটা পারদর্শী ও কর্মে দক্ষ, তার ওপর। তাই আগ্রহীরা সিজিপিএ’র চিন্তাটি একদম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
স্কলারশিপ পেতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়
অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে স্কলারশিপ পেতে হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে হবে কিংবা প্রথম সারির ছাত্র হতে হবে। আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, আপনি কেমন করে দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসবেন? কিংবা আপনি মফস্বল এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক করেছেন, কিন্তু উচ্চশিক্ষা নিয়ে বাইরে আসতে চাওয়া নিজের কাছে লজ্জাকর মনে করেন?
আসুন এই ধারণাগুলোকে কবর দেই। আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হন, তাহলেও আপনি দেশের বাইরে পড়াশোনার যোগ্য। দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু বোঝে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। এটাই আপনার বড় পরিচয়।
হয়তো বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করায়। তাতে কী হয়েছে, নিজের ইংরেজির দক্ষতা আপনি বাড়িয়ে দিন। আমার দেখা অনেক ছেলেমেয়ে আছে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাস্টার্স, পিএইচডি করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে।
জাপানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলতে মূলত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝায়। তাই বাংলাদেশের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কলেজের ছাত্র আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্যটা কমিয়ে ফেলুন।
আপনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কিন্তু স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে ভয় পাচ্ছেন? একে তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, তার উপর নিজেদের ভিত্তিতে দুর্বল। এই ধারণা কেবল আমাদের আশপাশের মানুষদের কাছ থেকে আপনি জেনেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, স্কলারশিপ পেতে হলে আপনি পাবলিক না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সেটা কখনও সামনে আসে না। আপনার যোগ্যতাই আপনার সাফল্যের মূলমন্ত্র। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছেন, সেটা গৌণ।
আমি জাপানে অনেক ছাত্র দেখছি, যারা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছে। মনবুশো স্কলারশিপ নিয়েই পড়ছে মাস্টার্স, কিংবা করছেন পিএইচডি। গবেষণার নেশা যাদের আছে, তাদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়টি কতোটা অখ্যাত কিংবা বিখ্যাত সেটা প্রধান না।
আপনার যে বন্ধুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতেই ভয় পাচ্ছে কিংবা চাকরিতে ঢুকে পড়ছে, সেখানে আপনি সাহস করে পিএইচডি করতে চাচ্ছেন- এটাই তো আপনার বড় অর্জন। দিন শেষে আপনার পিএইচডিটাই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
দেশের বাইরে পড়াশোনার ক্যাটাগরি
স্কলারশিপ কেবল যে মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি’র জন্য, তা নয়। দেশের বাইরে আপনি আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায় থেকে শুরু করে কারগরি শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পেতে পারেন। আমি নিচে সেগুলো তুলে ধরছি।
স্নাতক
আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি, সেখানে অন্তত দুইজন বাংলাদেশি আছেন যারা স্নাতক করতে জাপানে এসেছেন। এদের মধ্যে একজন বুয়েটে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ পার করেই স্কলারশিপ নিয়ে চলে আসেন। আর আরেকজন এসেছেন একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে এক বছর পাঠ চুকিয়ে। কারণ, একটাই। স্কলারশিপের অর্থে উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণ।
আমার জানা মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক পর্যায়ের কোর্স ইংরেজি মাধ্যমে থাকলেও জাপানে স্নাতক পর্যায়ের সম্পূর্ণ চার বছরের কোর্সটি জাপানি ভাষায়। আপনাকে জাপানি শিক্ষার্থীদের সাথে পড়াশোনা করতে হবে। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ের কোর্স বিদেশি শিক্ষার্থীদের ডিজাইনে করা হয়নি। তাই আপনি যদি স্নাতক করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতি বছর যে মনবুশো বৃত্তি দেওয়া হয়, সেখানে অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীকে নেওয়া হয়। জাপানে আসার পর তারা পুরো এক বছর ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করে। পরে জাপানি শিক্ষার্থীদের সাথে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ভিত্তিক হলেও জাপানে ভর্তি ব্যবস্থা ভিন্ন। এখানে প্রথমে আপনাকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরপর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
মাস্টার্স
এক সময় ধারণা ছিলো, স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। কথাটি একদম ঠিক নয়। জাপানে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী মাস্টার্সে পড়াশোনা করতে জাপান সরকারের বৃত্তি পেয়ে আসছে। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি কোর্স রয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের। ক্লাসের সব লেকচার ইংরেজিতে হয়।
এখানে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যায় পড়াশোনা করা যায়। সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে ভাষা বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাস্টার্স করতে পারে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতক শেষ করে আপনি জাপানে পুরকৌশল, আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।
আপনি মেকানিক্যাল নিয়ে দেশে স্নাতক করেছেন, এখানে আপনি ইলেকট্রিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। তবে ইদানিং জাপান সরকার আর্কিটেকচার পড়াশোনায় বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে পড়াশোনার জন্য আসছে।
বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জয়জয়কার হলো জাপান। আপনি বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। আপনি রসায়ন থেকে স্নাতক শেষ করেও এখানে মলিকুলার বায়োলজি, বায়োটেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। স্নাতকোত্তর যেকোনো বিষয়ে আপনি মাস্টার্স করতে পারেন। তাই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন।
পিএইচডি
এই ধাপটি অনেক বড়। প্রচলিত ধারণা ছিলো, পিএইচডি মানে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরাই এটা করেন। কিন্তু না, পিএইচডি করা যায় মাস্টার্স শেষ করেই। মেডিকেল ফ্যাকাল্টির অধীনে চার বছর আর কলা, বিজ্ঞান-প্রকৌশল ফ্যাকাল্টির অধীনে তিন বছর গবেষণা করে আপনাকে যে ডিগ্রিটি দেওয়া হবে, তা হলো ডক্টর অব ফিলোসফি বা পিএইচডি।
তবে মজার বিষয় হলো, জাপান ইদানিং সরাসরি পিএইচডিতে ভর্তি করানোর জন্য মাস্টার্স লির্ডিং পিএইচডি প্রোগামকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দেশ থেকে মাস্টার্স করার পরও জাপানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে গুরুত্ব দেয় না। তাছাড়া, পিএইচডি করার জন্য তিন বছর যথেষ্ট নয় বলে অনেক বিভাগই পাঁচ বছরের কোর্সে পিএইডি-মাস্টার্স করার সুযোগ দিচ্ছে।
মাস্টার্স থিসিস
দেশে যারা মাস্টার্স করেছেন, যারা পিএইচডির জন্য পড়াশোনায় আসতে চান, আপনাদের মূল হাতিয়ার হলো আপনার মাস্টার্স থিসিস। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা এক ধরনের গোঁড়ামির মধ্যে শিক্ষার্থীদের বের করে দিচ্ছে, তা হলো মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিভক্তকরণ। থিসিস-ননথিসিস গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিচ্ছে। এটা করা হচ্ছে, যারা ভালো ফলাফল করছে, তাদেরকে থিসিস দিয়ে অন্যদের বঞ্চিত করে।
আমি এই নিয়মের ঘোরতর বিরোধী। আপনি যদি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হোন, আপনার মাস্টার্স থিসিস থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। জাপানসহ উন্নত দেশগুলোতে যেখানে আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস পেপার থাকে, সেখানে আমাদের দেশে মাস্টার্স থিসিস থাকবে না- সেটা সত্যিই লজ্জার। আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ করব, দয়া করে আপনাদরে এই ধারণা থেকে বেরিয় আসুন।
যে শিক্ষার্থীকে থিসিস দিলেন, তার হয়তো গবেষক হওয়ার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু আপনাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের কাছে তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। কারণ, পিএইচডি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই থিসিস থাকতে হবে।
পিএইচডি যারা করতে চান, তাদের জন্য পাবলিকেশন প্রয়োজন নেই। যারা পাবলিকেশন হয়নি বলে চিৎকার করছেন, তারা এই অবস্থা থেকে বের হন। মাস্টার্স করে আপনার গবেষণাপত্রটি জার্নালে নাও যেতে পারে, কিন্তু অধ্যাপককে ম্যানেজ করতে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত পূরণ করতে আপনার কেবলমাত্র গবেষণাপত্রটি থাকা জরুরি। কারণ, মাস্টার্সে থাকতে চার-পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থীর পাবলিকেশন থাকে, বাকিদের করা সম্ভব হয় না।
তবে আমাদের দেশের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সের পর নিজেদের ল্যাবগুলোতে বেশিদিন লাগিয়ে রাখেন। শিক্ষার্থীদের মনে এক ধরনের ভুল বার্তা দিচ্ছে যা সত্যিই ভোগান্তির। তাই মাস্টার্স পর্যায়ে পাবলিকেশনের জন্য পড়ে না থেকে আপনার থিসিস পেপার দিয়ে আবেদন করা শুরু করেন। পিএইচডি আবেদন করতে কখনোই পাবলিকেশন প্রয়োজন নেই। তবে যাদের আছে তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট বটে।
ভাষা নিয়ে পড়াশোনা
আপনি এইচএসসি পাস করেছেন, জাপানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী? সেক্ষেত্রে জাপান সরকার আপনাকে এই দেশে ভাষা কোর্সে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। সম্পূর্ণ জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে জাপানিজ ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।
স্কলারশিপ/ নন-স্কলারশিপ
বাইরে এমএস বা পিএইচডি করার জন্য এই দুইটি শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। স্কলারশিপ আসলে দুই ধরনের- সরকারি স্কলারশিপ ও ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নন-স্কলারশিপ।
দেশের বাইরে যারা শিক্ষা গ্রহণ করছে, তারা কেউ সেই দেশের সরকার বা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক স্কলারশিপের অর্থে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। কমনওয়েলথ, ডাড, বিকে-২১, মনবুশোসহ বেশকিছু সরকারি স্কলারশিপ জনপ্রিয় হলেও সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের নিজস্ব ফ্যান্ড কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া অর্থ অনেক সময় সরকারি স্কলারশিপের চেয়ে বেশি হয়। সুতারাং এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে সুযোগ পাওয়ার গুরুত্বটাকেই মূখ্য করা উচিত।
আগামী পর্বে জাপানে স্কলারশিপ পাওয়ার শর্ত, পদ্ধতি, কৌশল থাকবে। সেই সাথে কীভাবে অধ্যাপকের নজরে নিজেকে আনবেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরবো। প্রথম লেখার পর বেশকিছু প্রশ্ন এসেছে। আশা করি, আপনাদের মনের জিজ্ঞাসা এবারও জানাবেন। তিনপর্বের পর সর্বশেষ (চতুর্থ) পর্বটি সাজাবো আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নের উত্তর দিয়ে।
লেখক:
এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান প্রতিনিধি
ইমেইল: [email protected]
এই লেখকের আরও পড়ুন