ট্রাম্পের কিছু সমর্থক বলেছেন, ভিন্ন বর্ণের মানুষদের সুরক্ষার নীতিগুলো শ্বেতাঙ্গদের অধিকার রক্ষার জন্যও প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
Published : 05 May 2024, 12:24 PM
যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত ‘শ্বেতাঙ্গ বিরোধী অনুভূতির’ বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও মার্কিন জীবনে বৈচিত্র জোরদার করার জন্য তৈরি করা সরকারি ও কর্পোরেট কর্মসূচীগুলো যারা বাতিল করতে চায় ট্রাম্পের সেই মিত্ররা উজ্জীবিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের কিছু উচ্চ পর্যায়ের সমর্থক বলেছেন, শ্রেণিকক্ষে, কর্মক্ষেত্রে এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিন্ন বর্ণের মানুষদের সুরক্ষার নীতিগুলো শ্বেতাঙ্গদের অধিকার রক্ষার জন্যও প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার টাইমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, “আমার মনে হয় এই দেশে স্পষ্ট শ্বেতাঙ্গ বিরোধী একটি অনুভূতি আছে। খোলাখুলি বলছি, আমার মনে হয় না এটি নিয়ে কাজ করা কঠিন হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, বর্তমানের আইনগুলো খুব অন্যায্য।”
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ বিরোধী পক্ষপাতের কোনো উদাহরণ এবং এ বিষয়ে কোনো নীতি নির্দেশও করেননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্পের প্রচারণা ওয়েবসাইটে বেশ কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আর তার কিছু মিত্র ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরলে কী করতে হবে তার বিস্তারিত সুপারিশ তুলে ধরছেন।
ট্রাম্পের একটি প্রস্তাব হচ্ছে, বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, এলজিবিটিকিউ আমেরিকান এবং গ্রামীণ আমেরিকানরা সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলো ফেডারেল সংস্থাগুলো কর্মসূচীতে পর্যাপ্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে কিনা তা মূল্যায়ন করে দেখতে বাইডেনের দেওয়া নির্বাহী আদেশ উল্টে দেওয়া।
নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশগুলোতে ট্রাম্প সমালোচনামূলক জাতি তত্ত্ব শিক্ষা দেওয়া স্কুলগুলো থেকে তহবিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ট্রাম্পের এক প্রচারণা পরামর্শক লিন প্যাটন এক সাক্ষাৎকারে রক্ষণশীল আন্দোলনকারী ও সাংবাদিক লরা লুমারকে বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যে স্কুল, কোম্পানি ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো বৈচিত্র, সমতা ও অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মসূচীর অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রণয়ণ করেছে সেগুলোকে ফেডারেল তহবিল দেওয়া বন্ধ করবে হোয়াইট হাউজ।
মানবধিকার আইনজীবীরা এসবের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির যে দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরছে তা ভিন্ন বর্ণের মানুষদের সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা। কয়েক শতাব্দির নথিভুক্ত বৈষম্যকে পাল্টে দিতে যে কর্মসূচীগুলো বর্তমান ট্রাম্প সেগুলো ভেঙে ফেলতে চান।