সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে আসছে শাহরুখ খানের এই সিনেমা।
Published : 04 May 2023, 06:49 PM
ঈদের পরপর এই সময়ে হিন্দি সিনেমা ‘পাঠান’ মুক্তি না দেওয়ার আহ্বান রেখেছিলেন দেশের চলচ্চিত্রের একদল কলাকুশলী। তবে তাদের সেই আশা পূরণ হচ্ছে না।
বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে শাহরুখ খানের এই সিনেমা। এখন ১২ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি।
বৃহস্পতিবার সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায় বলে জানিয়েছেন 'পাঠান’র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের মালিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “আমরা সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছি, সনদপত্র অবশ্য এখনও হাতে পাইনি। সাধারণত সেন্সর দেওয়ার পর সাইন হয়ে ছাড়পত্র হাতে পেতে আরও একদিন সময় লাগে।”
ভারতীয় সিনেমা দেখানোর দাবি হল মালিকদের, তথ্যমন্ত্রীর আশ্বাস
সবাই রাজি হলে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা আমদানি: তথ্যমন্ত্রী
হিন্দি সিনেমা আনলে অবস্থা হবে নেপালের মতো: জায়েদ খান
পাঠানের সঙ্গে হিন্দির মোড়কে উর্দু আসবে: ঝন্টু
সেন্সরবোর্ডে ভারতের ‘পাঠান’, ছাড়পত্র মিললে ১২ মে বাংলাদেশে মুক্তির পরিকল্পনা
রোজার ঈদের পরপরই পাঠান মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমদানিকারকদের। গত মঙ্গলবার সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছিল তারা।
তবে ঈদে মুক্তি পাওয়া দেশীয় সিনেমার ব্যবসা তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তা পেছানোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেন একদল পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী।
পাঠান কবে মুক্তি দেওয়া হবে- জানতে চাইলে অনন্য মামুন বলেন, “আমরা তো চেয়েছিলাম ৫ই মে সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দিতে। দেশের চলচ্চিত্র সমিতিগুলো চাইছে একটু পিছিয়ে মুক্তি দিতে। আমরা ১২ই মে পাঠান মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠানে শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহাম। সিনেমাটি ইতোমধ্যে বলিউডে সুপারহিট তকমা পেয়েছে, বিদেশেও ভালো ব্যবসা করছে অ্যাকশন সিনেমাটি।
পাঠান মুক্তি পেতে ১০ দৃশ্যে কাঁটছাট
পাঠান থেকে যেভাবে শাহরুখের পকেটে ২০০ কোটি রুপি
দীর্ঘদিনের আলোচনার পর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় বাংলাদেশে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র দেখানোর অনুমতি সম্প্রতি দেয় সরকার।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পাঠান সিনেমা মুক্তির তোড়জোড় শুরু হয়।
ভারতীয় সিনেমা দেখানোর ক্ষেত্রে সরকারের শর্ত হল, প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা দেশে আনতে হলে সমান সংখ্যক বাংলাদেশি সিনেমা রপ্তানি করতে হবে। হলে দেখানোর আগে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে হবে।