এতে করে চাঁদে নভোচারী পাঠানো নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জাপান জড়িয়ে পড়েছে। এ প্রতিযোগিতাকে ‘নতুন এক স্পেস রেস’ বলে আখ্যা দিয়েছে নাসা।
Published : 30 Apr 2024, 08:51 PM
চাঁদের মাটিতে পা রাখার দৌড়ে চীনকে হারিয়ে দিতে পারে জাপান।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কাউকে যদি চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠানো হয় তবে তিনি হবেন একজন জাপানি নভোচারী।
চাঁদে মানুষের পাড়ি জমানোর এ প্রতিযোগিতাকে ‘নতুন এক স্পেস রেস’ বলে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
গেল ১০ এপ্রিল বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা যে পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছেন তাতে নাসা’র আর্টেমিস মিশনের অংশ হিসাবে প্রথমে ২০২৮ সালে একজন ও পরবর্তীতে ২০৩২ সালে আরেকজন জাপানি নভোচারীকে চাঁদে পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে দেশটি।
এতে করে চাঁদে নভোচারী পাঠানো নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জাপান জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। কারণ এর মাঝামাঝি, ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে নভোচারী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন।
এর পাশাপাশি, ২০৩৫ সাল নাগাদ চাঁদে একটি যৌথ ঘাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চীন ও রাশিয়া, যেটিকে ক্রমাগত নতুন ‘স্পেস রেস’ বলে যাচ্ছেন নাসা প্রধান বিল নেলসন।
“আমরা বিশ্বাস করি, তাদের (চীন-রাশিয়া) তথাকথিত অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচির বেশিরভাগই সামরিক। আর বাস্তবেও আমরা একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি,” এ মাসের শুরুতে চীনকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন নেলসন।
তবে এখন চাঁদের পৃষ্ঠে চীনের আগেই জাপানের অবতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা বেইজিংকে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে বাধ্য করতে পারে বলে চীনা দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’কে বলেছেন বিশ্লেষকরা।
এরইমধ্যে নিজেদের মহাকাশ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচী বাড়ানোর পাশাপাশি সফলভাবে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন বানিয়েছে চীন। এ ছাড়া, সামনের দিনগুলোয় চাঁদের দূরবর্তী অংশেও অভিযান চালাতে চায় দেশটি।
একইসঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ শুরু করতে আগামী ২০২৬ ও ২০২৮ সালের জন্য একটি ক্রুবিহীন মিশনেরও পরিকল্পনা করছে চীন।
“চীন বিস্ময়কর অগ্রগতি দেখিয়েছে, বিশেষ করে গত ১০ বছরে। তবে, তারা খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে,” বলেন নেলসন। তবে এর আগে থেকেই তিনি ক্রমাগত সতর্ক করে আসছেন, চীন কোনোভাবে চাঁদে পানির খোঁজ পেলে একে তারা নিজস্ব সম্পদ বলে দাবি করতে পারে।
“এর জন্য চীন ব্যাপক অর্থ ঢেলেছে। এমনকি তাদের বাজেটে বাড়ানোরও পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল। তাই এ বিষয়ে আমাদের সাবধান থাকা উচিৎ।”
এদিকে হোয়াইট হাউস বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রস্তাবিত যৌথ মিশনটি নির্ভর করবে চাঁদে রোভার চালানোর ক্ষেত্রে জাপানের দক্ষতার ওপর। আর ফ্লাইট ও নভোচারী প্রশিক্ষণ এবং মিশনের বিভিন্ন ঝুঁকি পরিচালনার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।