রোবটটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রোগ্রামিং ভাষা ‘পাইথন’ কোডের পাঁচ হাজার লাইন ও রঙিন সেন্সর, যার মধ্যেমে যে কোনও প্রি-সেট বৈচিত্র্য থেকে ধাঁধাটি সমাধান করতে পারে।
Published : 16 Sep 2024, 06:04 PM
সম্প্রতি এমন এক রোবট তৈরি করেছেন ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্র, যেটি রুবিকস কিউব সমাধান করতে পারে বলে দাবি তার।
যুক্তরাজ্যের উত্তর বেলফাস্টের ‘সেন্ট ম্যালাচিস কলেজ’-এর রুয়ার্ক নামের এই কিশোর স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন কেবল ১২ বছর বয়সে প্রথম ধাঁধাঁ সমাধানকারী ‘লেগো’ রোবটের প্রোটোটাইপ তৈরির পদক্ষেপ নেন।
গত বছর স্কুলটি নিজেদের ‘ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল টেকনোলজি হাব (সিডিটিএইচ)’ চালুর পর রুয়ার্কের এমন রোবট তৈরির কাজটি সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
স্কুলটির শিক্ষক ক্লেয়ার ম্যাকগ্রাথ বলেছেন, প্রথমে তিনি ‘বিশ্বাস করতে পারেননি’ যে রুয়ার্কের এ রোবটটি কাজ করবে।
“প্রথমদিকে রোবটটি কাজ করতে ব্যর্থ হলেও পরে আমি এটিকে আরও ভালভাবে তৈরির জন্য কাজ করেছি।”
“মানুষরা বিস্মিত হয় যে, রোবটি আসলেই রুবিকস কিউব সমাধান করতে পারে। এখন রোবটটি ঠিকঠাক কাজ করছে। এমনকি এটি সত্যিই ফলপ্রসূ ও বেশ দারুণ।”
এদিকে, ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য আইটি শিল্পের দিকে এরইমধ্যে নজর রেখেছেন রুয়ার্ক। ভবিষ্যতে সম্ভবত নিজেকে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দেখতে চান, বলেন তিনি।
রোবটটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রোগ্রামিং ভাষা ‘পাইথন’ কোডের পাঁচ হাজার লাইন ও রঙিন সেন্সর, যার মধ্যেমে যে কোনও প্রি-সেট বৈচিত্র্য থেকে ধাঁধাটি সমাধান করতে পারে।
‘ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল টেকনোলজি হাব’ চালু হওয়ার পর স্কুলটি এক নতুন ‘কি স্টেজ থ্রি’ পাঠ্যক্রম শুরু করে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ব্লক-ভিত্তিক কোডিং ব্যবহার করে রুয়ার্কের মতো বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ‘লেগো’ রোবট।
ম্যাকগ্রাথ বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন নিজেদের সিলেবাসের মূল বিষয়গুলো শিখে ফেলে তখন তাদের অনলাইনে প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজে বের করার অনুমতি দেওয়া হয় স্কুল থেকে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি শিখতে পারে।
“ছেলেদের মধ্যে কয়েকজনকে স্কুলের ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল টেকনোলজি হাব থেকে কিট নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল; আমি সে সময় বলেছিলাম, যা খুশি বানাও... আর আমাকে মুগ্ধ করো।”
“সেটাই আমাকে করে দেখিয়েছে রুয়ার্ক। রোবটটি ভালভাবে কাজ করছে; এতে পাইথন কোডের পাঁচ হাজার লাইন আছে; আপনি যেভাবেই রুবিকস কিউবটিকে এলোমেলো করে সাজান না কেন রোবটটি এর সমাধান করে দেবে এবং এটি খুবই দারুণ বিষয়।”
“সৃজনশীলতা এক ধরনের বিস্ময়কর দক্ষতা। তাই ছোটখাটো এসব কিট দিয়ে শিক্ষার্থীরা কী বানাতে পারে তা দেখার জন্য স্কুল থেকেই আমাদের সুযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার— যা ভবিষ্যতের উদ্ভাবকদের তৈরি করবে।”
এ নতুন হাব চালুর ধারণাটি উত্থাপন করেছিলেন স্কুলটির অধ্যক্ষ পল ম্যাকব্রাইড।