দুরভের জন্ম রাশিয়ায় ও এখন তিনি বসবাস করেন দুবাইয়ে, সেখানে টেলিগ্রামের সদর দপ্তরও। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্সের নাগরিকত্ব রয়েছে তার।
Published : 18 Mar 2025, 04:51 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভকে দুবাইয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তবে তার বিরুদ্ধে আনা মামলা অব্যাহত রেখেছে ফ্রান্স।
এর আগে, গত বছরের অগাস্ট মাসে এই প্রযুক্তি ধনকুবেরকে গ্রেপ্তার করে ফ্রান্স পুলিশ। ওই সময় ব্যক্তিগত জেট নিয়ে লো বোগি বিমানবন্দরে নামার পর দুরভকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
৪০ বছর বয়সী দুরভের বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম সংক্রান্ত একটি মামলায় পরোয়ানা ছিল। সেই পরোয়ানাতেই ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করার কথা বলেছেন ফ্রান্সের কর্মকর্তারা।
এই প্রথম কোনও প্রযুক্তি প্রধানকে তাদের প্ল্যাটফর্মে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
ফরাসি আদালতে দুরভের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগের মধ্যে রয়েছে টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘শিশু পর্নোগ্রাফি, অবৈধ ওষুধ বিক্রি ও হ্যাকিং সফটওয়্যার সরবরাহ। তার বিরুদ্ধে ‘টেলিগ্রামের অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে তদন্তে অসহযোগিতার’ অভিযোগও উঠেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এরপর তদন্ত চলাকালেই তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে ফ্রান্স। ২৮ অগাস্ট জামিন পান দুরভ। শর্ত তিনি দেশটি ত্যাগ করতে পারবেন না, যেখানে পুলিশি হেফাজত থেকে জামিন পেতে তাকে গুনতে হয়েছে ৫০ লাখ ইউরো।
তার বিরুদ্ধে আনা মাদক পাচার, শিশু যৌন নিপীড়নের কনটেন্ট ও জালিয়াতির বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ার কথা বরবারই অস্বীকার করেছেন দুরভ।
বাড়ি ফিরে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে দুরভ বলেন, “মামলার প্রক্রিয়া চললেও বাড়ি ফিরতে পেরে দারুণ আনন্দিত আমি।” দুবাইয়ে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারার জন্য ফরাসি বিচারকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
দুরভের জন্ম রাশিয়ায় ও এখন তিনি বসবাস করেন দুবাইয়ে, সেখানে টেলিগ্রামের সদর দপ্তরও। তার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফ্রান্সের নাগরিকত্ব রয়েছে। তথ্য হস্তান্তরে সম্মত না হওয়ার কারণে ২০১৮ সালে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করে রাশিয়া। তবে ২০২১ সালে আবার সেটি খুলে দেয় দেশটি।
২০১৩ সালে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করার পরের বছরই রাশিয়া ত্যাগ করেন দুরভ। তার আরেক সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভিকন্টাক্টে থেকে বিরোধী কমিউনিটি বন্ধ করার সরকারি প্রস্তাবে সায় না দেওয়ার পর রাশিয়া ছেড়েছিলেন তিনি।