নরসিংদী-১ আসনে কামরুল ও হিরো দুজন সমানতালে প্রচার চালাচ্ছেন; পক্ষ-বিপক্ষে হুমকি, গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
Published : 23 Dec 2023, 12:25 AM
নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন খুন হয়েছেন এক যুগের বেশি সময় আগে; তার ছায়া আর প্রভাব এখনও রয়ে গেছে স্থানীয়দের জনমানসে। তার ছোটভাই কামরুজ্জামান কামরুল ‘লোকমান-ইমেজ’কে পুঁজি করেই দুইবার মেয়র হয়েছেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তিনবারের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরোকে।
নরসিংদী-১ সদর আসনের ভোটারদের ভাষ্য, ভোট সুষ্ঠু হলে ভালো লড়াই হবে দুই প্রার্থীর মধ্যে। দুজনই সমানতালে প্রচার চালাচ্ছেন। পক্ষ-বিপক্ষে হুমকি আর গ্রেপ্তারে উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে।
ভোটাররা কামরুলকে বিজয়ী করবেন; নাকি হিরোকে পর পর চারবার জাতিয়ে ‘নায়ক’ বানাবেন, তা জানতে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।
দুটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নরসিংদী সদর আসনে ভোটার আছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৯ জন; ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৯৭ জন নারী ।
নরসিংদী জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময়ই নানা সমীকরণে বিভক্ত। শুধু নেতাদের মতের অমিলে এর শেষ হয়নি। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, কর্মীকে এই বিভেদের বলি হতে হয়েছে।
লোকমান হত্যার পর সবশেষ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রতিপক্ষের হাতে’ প্রাণ দিতে হয়েছে ২৫ বছর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে। তার ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রকিউল আলম কিরণকেও প্রকাশ্য জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
এই তো গত অক্টোবরে ছাত্রলীগ নেতা রানা আকবর মোল্লাকে শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকার পৌর ঈদগাহ মাঠে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, এ বছর মে মাসে জেলা ছাত্রদলের নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক ও আশরাফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
একজন রাজনৈতিক কর্মী বলছিলেন, “প্রতিবছরই চার-পাঁচটা রাজনৈতিক খুন এ জেলায় বাঁধা ধরা ঘটনা। আগে আরও বেশি হত। রাজনীতি আর খুন-জখম যেন এখানে হাত ধরাধরি করে চলে। নির্বাচনেও এর প্রভাব থাকে। ফলে এখনি বলা যাচ্ছে না, এখানে কী হবে।”
এর মধ্যেও গত দুই দশকে নরসিংদী জেলার অর্থনীতির অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। শিল্প-কারখানা বেড়েছে; দেশের সবচেয়ে বড় কাপড়ের হাট বাবুরহাটের কারণে কর্মসংস্থান বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে।
নরসিংদী সদর আসনকে বিএনপির ঘাঁটি বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির সামসুদ্দিন আহমেদ ইসহাক। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন।
পরে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি আবার প্রার্থী হন। ওই বছর আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদলে নজরুল ইসলাম হিরোকে নৌকা দিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করে। তবে তার বিরুদ্ধে ভোটারদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে তার যোগাযোগ কম।
মেয়র লোকমান হোসেনের ঘনিষ্ঠ এক আওয়ামী লীগ নেতা বলছিলেন, সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম হিরো যখন এই আসনে প্রার্থী হন, তখন তিনি অনেকটাই ‘অপরিচিত মুখ’ ছিলেন সাধারণ ভোটারদের কাছে। লোকমান তখন নরসিংদী পৌরসভার মেয়র। উন্নয়নের কারণে মানুষের আস্থা ছিল তার প্রতি। তখন নবাগত হিরোকে রাজনীতির মাঠে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন মেয়র লোকমান।
জেলার দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তখন হিরো-লোকমান এক বলয়ে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। অন্যপক্ষ তখন অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২০১১ সালের নভেম্বরে লোকমান হত্যার পর তার ছোটভাই ঠিকাদার কামরুল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নবিশই ছিলেন। সে সময় হিরোর আস্থাভাজন ছিলেন তিনি।
লোকমানের ভাই হিসেবেই মানুষ তার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল এবং পর পর দুবার মেয়র পদে তাকে নির্বাচিত করেছে। তৃতীয়বার তিনি আর দলের মনোনয়ন পাননি। এবার সংসদ নির্বাচনেও দল তার ওপর আস্থা রাখেনি।
কেন এমনটা হল জানতে চাইলে ওই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “‘লোকমান ইমেজে’ মনে হয় ভাটা পড়েছে কামরুলের রাজনৈতিক জীবনে। চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষকে নিপীড়ন ইত্যাদি অভিযোগের কারণে হয়ত তিনি নিজেই সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি।”
তবে মেয়র হিসেবে দুই মেয়াদ, নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কামরুল সদরে নিজের একটি রাজনৈতিক ভিত্তি ও সমর্থক-গোষ্ঠী তৈরি করতে পেরেছেন। লোকমানের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলিও ২০১৮ সালে সংরক্ষিত আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন।
অপরদিকে গত ১৫ বছরে নজরুল ইসলাম হিরোও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। নিজেকে বিস্তৃত করেছেন তৃণমূলে, উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তারও একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
এখন মোটা দাগে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন ও সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরো এক বলয়ে; আর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু এবং কামরুজ্জামান কামরুল অপর একটি বলয়ে নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে সক্রিয় আছেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, মাধবদী পৌরসভার মেয়র ও মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকসহ জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা সরাসরিই কামরুলের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন।
আওয়ামী লীগের এই বিভক্তি নৌকার ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, “নরসিংদী সদরের মানুষ পরিবর্তন চায়। সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের আগ্রহের কারণেই আমি প্রার্থী হয়েছি। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াতে দলের কোন বাধা নেই। এরই মধ্যে আমার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিপুল ভোটে মানুষ আমাকে বিজয়ী করবেন।”
“আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম হিরো যদি সদর আসনের মানুষের জন্য ১৫ বছরে ভাল কাজ করে থাকেন, তাহলে আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভালো ছাত্ররা পরীক্ষায় ভয় পায় না। যারা পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়, তারাই পরীক্ষার সময় এলে ভয় পান। তিনি কেমন কাজ করেছেন সেটিই সদরের মানুষ ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করবেন।”
‘স্বতন্ত্র চিনি না, মাইরের ওপর ওষুধ নাই’
স্বতন্ত্র প্রার্থী পেটানোর হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম হিরো বলেন, “বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠ ঘোলা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে উদ্দেশ্যে লিপ্ত আছেন, আমি মনে করি এটা সফল হবে না। আওয়ামী লীগ শক্ত কাঠামোর উপর দাঁড়ানো একটা দল, সাংগঠনিক ঐক্য অনেক ভালো।
“এ দল থেকে বিভিন্ন সময় বিদ্রোহ করেছে অনেকে। বিভিন্ন সময় দলের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছেন, শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে ওইসব বিদ্রোহী নেতারা হারিয়ে গেছেন। যারা প্রলোভনে পড়ে দলের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছেন, আমি বিশ্বাস করি তারা টিকবেন না। নৌকাই বিজয়ী হবে, ইনশাল্লাহ।”
এখানে এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আরও ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. ওমর ফারুক মিয়া (লাঙ্গল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. ছবির মিয়া (ফুলের মালা), স্বতন্ত্র মো. জাকারিয়া (ট্রাক), তৃণমূল বিএনপির মো. জলিল সরকার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শাজাহান মিয়া (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা (ডাব)।
নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিবুল হাসান মিন্টু বলেন, “সাবেক মেয়র কামরুল তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন। এ কারণে মানুষ তাকে ভোট দেবে।”
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একরামুল ইসলাম বলেন, “সদর আসনে তিনবারের এমপি এবারও নৌকার মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বিগত ১৫ বছরে দেশের অন্য জেলার মত কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি। তিনি ঢাকায় থেকে রাজনীতি করেছেন।
“সদরের মানুষ অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছিলেন। মেয়র না হয়েও কামরুল সবসময় মানুষের পাশে ছিলেন। কোভিডকালীন যখন মানুষ লাশ রেখে পালিয়ে যেত, সে সময়টাতে খাবার ও নিত্যসামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মী এবং জনগণের মন জয় করতে পেরেছেন কামরুল।”
নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুলের বড় ভাই লোকমান হোসেন দেশের শ্রেষ্ঠ মেয়র ছিলেন। পৌর এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন করেছিলেন বলেই লোকমান হোসেন জনপ্রিয় ছিলেন।
“পরে তার ভাই কামরুজ্জামান কামরুর দুবার মেয়র হয়ে সে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন। সবসময় সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন বলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।”
অপরদিকে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেন, “নৌকার প্রার্থী একজন সৎ মানুষ। বিগত দিনে সদরে আমাদের উন্নয়নের জন্য আমরা জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে পারছি, জনগণও সাড়া দিচ্ছেন।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা নির্বাচিত হোক সেটা কেউ চান না মন্তব্য করে তালেব বলেন, “একজন এমপিকে সবসময় সংসদসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সে কারণে অনেকের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ কম হয়ে থাকতে পারে। সব সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে, সেজন্য বিপুল ভোটে আবারও নৌকা বিজয়ী হবে বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী।”
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস এম কাইয়ুম বলেন, “নজরুল ইসলাম হিরো বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্লোভ, সৎ এবং ধীর-স্থির মানুষ হিসেবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে নৌকার প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তার সময়ে এই জনপদে হানাহানি কমেছে।”
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, নরসিংদীর ভোটে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ‘ফ্যাক্টর’ কাজ করে। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রচুর ভোট আছে, যার একটি বড় অংশ নৌকার বাক্সে যায়। কামরুল এবং নজরুল সবসময়ই সেই ভোট একচেটিয়া পেয়েছেন। এবার নৌকাবিহীন কামরুল সেই ভোটে কতোটা ভাগ বসাতে পারবেন সেটা দেখার বিষয়।
এ ছাড়া মেঘনা নদী তীরের এই আসনে আলোকবালি, নজরপুর, চরদিঘলদী ও করিমপুর চারটি বড় চর রয়েছে। বলা হয়, চরের ভোট দুদোল্যমান। এটি রাজনৈতিক সুযোগ অনুযায়ী এবং গোষ্ঠীগত আধিপত্যের সুবিধার জন্য দিক বদলায়। শহরে কামরুলের অবস্থান ভালো, অপরদিকে চরের ভোটে নজরুলের হিস্যা বেশি- বিগত দিনের ভোটের তথ্য এমনটাই বলছে।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের হিসাব আমলে নিলে দেখা যায়, এখানে জয়ী বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর গড় ব্যবধান ১৫ হাজারের মত। অর্থাৎ বিএনপির ভোট ব্যাংকটি বেশ বড়। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে সবটুকু ভোট নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকবে বলে মনে করেন না প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
বিএনপির ভোট কি নৌকায় যাবে, নাকি অন্যদিকে যাবে- সেটাও এই ভোটে ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন অধিকাংশ ভোটার।
যদিও জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এই একতরফা ভোট নিয়ে ভাবছেন না। তাদের নেতাকর্মীরা কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। সবাইকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।