নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে নরিসংদী সদর উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় রিমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
Published : 01 Dec 2023, 04:03 PM
পেটানোর হুমকি দিয়ে নিবার্চনি আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি খোকন চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গেট থেকে রিমনকে গ্রেপ্তারের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হয়।
গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরুর মতবিনিময় সভায় ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেটানোর হুমকি দেন রিমন।
নরসিংদী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বদিউল আলম জানান, সদর উপজেলার নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার রাতে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে রিমনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রিমনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিল ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাহিদুর রহমান নাহিদ এ নোটিস দেন। নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন তার বক্তব্যে বলেছিলেন, “কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না, নরসিংদী শহরে ও সদরের কোনো এলাকায় তাকে থাকতে দেয়া হবে না।”
ছাত্রলীগ এ নেতার বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তা ভাইরাল হয়।
‘স্বতন্ত্র চিনি না, মাইরের ওপর ওষুধ নাই’
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, রিমনের দেওয়া বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নম্বর ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন।
নরসিংদী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বদিউল আলম বলেন, “আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”