শনিবার রাতে ঘরের দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে আলমারির তালা খুলে টাকা ও আড়াই ভরি সোনা নিয়ে যায় বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
Published : 02 Mar 2025, 07:58 PM
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ডাকাতি করে পালাতে সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাঁচজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। এ সময় আটকদের কাছ থেকে বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সকালে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কে উপজেলার ভজনপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
আটকরা হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের আ. আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেপুর মকিমপুর গ্রামের আ. জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), লালদিঘী আজমপুর ফকির পাড়া গ্রামের বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর (৪০), একই উপজেলার সানেরহাট পালানো শাহপুর গ্রামের আ. জব্বারের ছেলে আয়নাল (৩৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামের বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় মহাসড়কের ১০০ গজ দক্ষিণে স্কুল শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে একদল ডাকাত প্রবেশ করে।
ডাকাতরা ঘরের দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখে। পরে আলমারির তালা খুলে টাকা ও আড়াই ভরি সোনা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের ডাক-চিৎকার শুনে পাশের রুমের সদস্যরা তাদের উদ্ধার কবে প্রতিবেশীদের খবর দেয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে ডাকাতদের আটকাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে সকালে ভজনপুর বাজার থেকে পাঁচজনকে আটক করে।
শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, “বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে ডাকাতরা। তাদের হাতে দেশি অস্ত্র ছিল। পরে তারা আমাদের পেছন থেকে হাত বেঁধে রেখে পুরো ঘর এলোমেলো করে ফেলে।
“ঘরে থাকা ৩৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার পাশাপাশি তারা আমার স্ত্রীর কানের দুল ও হাতের চুরি খুলে নেয়। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। পাশের ঘরে আমার মেয়ে ছিল। তবে ওই ঘরের দরজা খুলতে পারেনি।”
তিনি বলেন, পাশের রুম থেকে মেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের ফোন করে ঘটনাটি জানালে সবাই এগিয়ে আসে। এ সময় পালিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা পিকআপ নিয়ে এসেছিল।
ডাকাত প্রবেশের খবর পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন বাজারে ভ্যানে মাইক নিয়ে ডাকাত প্রবেশ করেছে জানিয়ে সতর্ক করেন গ্রামবাসী। এ ছাড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয় যুবক ও তরুণরা। এ ঘটনার পর থেকে উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আটক পাঁচজন ডাকাত চক্রের সদস্য। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। অভিযান শেষ হলে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।