সকালে কনকনে শীত আর কঠোর নজরদারীর মধ্যে ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
Published : 04 Jan 2023, 01:45 PM
গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে সকাল থেকে বড় ধরনের কোনো ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুর ইসলাম বলেন, “সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। টানা ভোট চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।“
সকালে কনকনে শীত আর কঠোর নজরদারীর মধ্যে ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পর ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানও ধারণা দেন, পাঁচ ঘণ্টায় গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
উপ-নির্বাচন এবং শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মনে করেন এ কমিশনার।
নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে আনিছুর বলেন, “এখন পর্যন্ত আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে। এখনও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না।”
“এই পর্যন্ত যা দেখলাম তাতে ভোটার কিছুটা বেড়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ছিলাম আমরা এখানে। আছি সবাই মিলে। আমাদের মনে হচ্ছে ভালো ভোট হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর। ভোটারের উপস্থিতি যদিও একটু কম। এ পর্যন্ত আমরা কোনো অনিয়ম দেখিনি।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটকেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতি ভালো। ভিতরের পরিস্থিতিও ভালো। সবকিছুর পরিবেশ ভালো। ইভিএমের কারণে কোথাও কোনো ত্রুটি বা সমস্যা হচ্ছে না। কোনোকিছু অস্বাভাবিক না, সবকিছু স্বাভাবিক আছে।“
“এবার সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত জায়গায় বসা আছে। প্রভাব খাটানো বা একজনের ভোট অন্যজনকে টিপে দিতে দেখিনি। শীতে ভোটারের উপস্থিতি কম। সব মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল আছে। খুব ভালো পরিবেশ আছে।”
ভোটের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ওই সময় পর্যন্ত ১০ শতাংশের মত ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে অনিয়মের কারণে কোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন পুরোপুরি (সব কেন্দ্র) বন্ধ করার ঘটনা সেটাই প্রথম।
আগেরবারের মতই ৯৫২টি বুথে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ভোটারের ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে সরাসরি নজরদারি চলছে।
আরও পড়ুন: