সোমবার বিকেল পৌনে ৫টায় ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান।
গ্রেপ্তার সফিউল্লাহর বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলায়। তিনি স্থানীয় একটি চালকলে শ্রমিকদের সর্দার হিসাবে কাজ করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সফিউল্লাহ বিষমাখা মিষ্টি এনে দেন। সেই মিষ্টি লিমা তার দুই সন্তানকে খাওয়ান। পরে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে শিশুদের মা লিমা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সফিউল্লাহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহপুরের একটি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে সফিউল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রংপুর যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট কেটেছিলেন।”
সফিউল্লাহকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাকে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ১০ মার্চ আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াসিন (৭) ও মোরসালিনের (৫) মৃত্যু হয়।
লিমার স্বামী ইসমাঈল হোসেন চোখে কম দেখেন এবং শারীরিকভাবেও কিছুটা অক্ষম বলে পুলিশের ভাষ্য। সেজন্য লিমা তাকে ছেড়ে সফিউল্লাহকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
দুই শিশুকে বিষ মাখানো মিষ্টি খাওয়ানোর পর লিমা প্রচার করেন ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ তাদের মৃত্যু হয়। কিন্তু পরীক্ষায় ওই সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
পরে শিশুদের বাবা ইসমাঈল হোসেন বুধবার সফিউল্লাহ ও লিমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: