ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ওষুধ খাওয়ার পর’ ২ ভাইয়ের মৃত্যু: তদন্তে ২ কমিটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ‘প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার পর’ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পৃথক দুই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, দুই কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি শনিবার থেকে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ওষুধ খাওয়ার পর’ ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ  

বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামে ‘প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার পর’ ইয়াসিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তোলেন তাদের মা লিমা বেগম। পরদিন শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তিন সদস্যের পরিদর্শন টিম।

ঘটনার বর্ণনায় শিশুদের মা বলেন, “দুদিন আগে মোরসালিনের জ্বর হয়। তার আগে থেকেই ইয়াসিনের জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির পাশের একটি ফার্মেসি থেকে তারা একটি কোম্পানির প্যারাসিটামল সিরাপ এনে খাওয়ান। তারপর দুই ছেলেরই বমি শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, এরপর জেলা সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনার পথে রাত ৯টার দিকে ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। আর বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত সাড়ে ১০টায় মারা যায় মোরসালিন।”

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিভিল সার্জন জানান, যে ওষুধ খাওয়ার পর শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য জেলা ওষুধ প্রশাসন কার্যালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।