ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরাও।
Published : 26 Feb 2025, 08:50 PM
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের দুইদিনের মাথায় ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
বুধবার বিকালে সাজেক ভ্যালি পরিদর্শনের সময় পর্যটনকেন্দ্রে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত ইউনিট স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘সাজেক ভ্যালিতে ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশেষ ইউনিট স্থাপনের জন্য আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব।
“এখানে যে পানির সমস্যা সেটার নিরসন নিয়েও কাজ করা হবে।”
সাজেকে আগুনের ঘটনা ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই এলাকায় কিছু হওয়া মানে অর্থনীতিতে কী পরিমাণ যে ক্ষতি হল; সেটা অনুমান করতে পারছি না।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “এখানে কটেজ মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের জন্য করপোরেট লোনের ব্যবস্থা করে দিতে বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করব। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের কীভাবে খাওয়ানো যায় সেটা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করছি। আমি ঢাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কিছু চাল-ডাল পাঠিয়ে দেব।”
সাজেক ভ্যালিতে স্থানীয় ত্রিপুরা-লুসাইদের পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও পুড়ে যাওয়া কটেজ-রিসোর্ট পরিদর্শনকালে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, সাজেক ভ্যালিতে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. মোবারক হোসেন, কমিটির সদস্যসচিব ও বাঘাইছড়ির ইউএনও শিরীন আক্তার, সাজেক কটেজ-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।”
তদন্ত কমিটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন
এর আগে সাজেকের রুইলুই এলাকায় আগুনের উৎস উদ্ঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিটির প্রধান সদস্যদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে আগুনের উৎস সম্পর্কে কমিটি কিছু জানাতে পারেনি।
তারা ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
কমিটির আহ্বায়ক ও রাঙামাটি জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. মোবারক হোসেন বলেন, “ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং এটার সম্ভাব্য অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা সিগারেটের আগুন থেকে সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো কারণ খতিয়ে দেখা হবে।”