নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃতুর ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে র্যাবের কমিটি।
বৃহস্পতিবার তারা নওগাঁ সদর হাসপাতাল, সুলতানা জেসমিনকে রিকশা থেকে নামিয়ে র্যাবের গাড়িতে ওঠানোর স্থান নওযোয়ান মাঠের পূর্বকোণসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
সাদা পোশাকে থাকা তদন্তকারী দলের প্রধান পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, তিনদিন আগেই জেসমিনের মৃত্যুর বিষয়ে এই দল তদন্ত শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় নওগাঁর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত দল সস্যরা।
তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট পেশ করা হবে; এরপর র্যাবের মিডিয়া সেল থেকে তদন্তের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় র্যাবের এ দলের সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তুলতে দেননি। তাদের পরিচয়ও বলেননি।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এনামুল হকের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গত ২২ মার্চ সকালে অফিস যাওয়ার পথে সুলতানা জেসমিনকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে আটক করে র্যাব।
ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে র্যাব। এরপর ওইদিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
শনিবার বিকালে পরিবারের কাছে সুলতানা জেসমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। রাতে নওগাঁ সরকারি গোরস্থানে সুলতানা মরদেহ দাফন করা হয়।
র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি হাই কোর্টও বিষয়টি জানতে চেয়েছিল।
জেসমিনকে আটকের সঙ্গে জড়িত র্যাবের ১১ সদস্যকে র্যাব-৫ এর ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।
আরও পড়ুন