আবারও জামিন পাননি ফখরুল ও আব্বাস

বিএনপির এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতা গত ৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর থেকে আগেও তিনবার জামিনের আবেদন করলেও পাননি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2022, 12:14 PM
Updated : 21 Dec 2022, 12:14 PM

কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।

বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান

শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। তবে ‘রাজনৈতিক নেতা ও সম্মানিত ব্যক্তি’ হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ সুচিকিৎসার নির্দেশ দেন তিনি।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় আসামি হয়ে ফখরুল ও আব্বাস গত ৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন।

এর আগে তিন দফা তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল অন্যান্য আদালতে।

বুধবার এ মামলার অন্য আসামি বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম, সেলিমুজ্জামান সেলিমের জন্যও জামিন আবেদন জমা দেওয়া হয়। তাদের জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি তারিখ রাখেন বিচারক।

এদিন আসামিদের পক্ষে জামিনের শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

এর আগে এদিন সকালে ফখরুল ও আব্বাসের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। তখন আদালত শুনানির জন্য বিকাল ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন।

ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ, গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতা-কর্মীকে।

সেদিন ফখরুলকে গ্রেপ্তার না করলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়, একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।

পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের উপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এসময়কালে তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশি হেফাজতে চাইলেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত।

বিএনপি কার্যালয়ে ৭ ডিসেম্বরের অভিযানে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাদের মধ্যে শুধু আমান ও জুয়েল জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

Also Read: বিএনপির এ্যানী ও সালামের জামিন ফের নাকচ

Also Read: ফখরুল ও আব্বাসের জামিন তৃতীয়বারও নাকচ

Also Read: ফখরুল-আব্বাসের জামিনের জন্য আবার আবেদন

Also Read: জামিন মেলেনি, ফখরুল ও আব্বাস কারাগারে

Also Read: 'উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার' পারদ কী নামল সমাবেশ শেষে

Also Read: নয়া পল্টনে সংঘর্ষ: উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ফখরুল ও আব্বাস