'উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার' পারদ কী নামল সমাবেশ শেষে

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিনের ঘটনামালা আর কথার খেলায় রাজনীতিতে যে উদ্বেগ জেগেছিল, উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছিল- সন্ধ্যার পর সেটির অনেকটাই উবে গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2022, 07:44 PM
Updated : 10 Dec 2022, 07:44 PM

দিনভর যারা কাজে বেরিয়েছেন কিংবা সমাবেশে যেতে পথে নেমেছিলেন দুর্ভোগ ও ভোগান্তি ছিল তাদের পিছুপিছু; আলোচিত দিনটি শেষ অবধি নির্বিঘ্নে পার হওয়ায় সন্ধ্যায় যখন তারা ঠিকঠাক ফিরেছেন আর কথার খেলায় তৈরি হওয়া অজানা আশঙ্কায় নিজেদের ঘরবন্দি রাখা ব্যক্তিরাও যেন স্বস্তির দম ফেলেছেন।

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে গত কয়েকদিনের ঘটনামালা আর কথার উত্তাপে রাজনীতিতে যে উদ্বেগ জেগেছিল, উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছিল- শনিবার সন্ধ্যার পর সেটির অনেকটাই উবে গেছে।

রাজধানীসহ দেশজুড়ে গোলযোগবিহীন দিন কাটিয়ে সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ ঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে হাঁফ ছেড়েছেন সবাই। নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও তল্লাশির মধ্যে গণপরিবহন না থাকাটাই তাদের ভুগিয়েছে বেশি।

কোনও কোনও নেতার বক্তব্যে সমাবেশ থেকে ‘সরকার পতনে অবস্থানের’ মত কর্মসূচির যে কথা অনেকের মনে উঁকিঝুঁকি মেরেছিল বিভাগীয় এ গণসমাবেশে সে পথে হাঁটেনি বিএনপি; নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি ও বিক্ষোভের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর বাড়ির পথ ধরেছেন সবাই।

সমাবেশে জানানো দাবিগুলো আগে থেকেই জানিয়ে আসছে দলটি। এদিন নতুন ঘোষণা হিসেবে সংসদ থেকে বিএনপির সাত সাংসদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার খবর জানানো হয়।

গণ্ডগোলবিহীনভাবে দিন শেষে উত্তেজনার পারদ নেমে যাওয়ার ‘এমন পরিবেশ বাংলাদেশে নতুন একটি মাত্রা যোগ করল’ বলে মনে করেন গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইসিএলডিএস) এর নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে আমরা রাজনৈতিক সহিংসতাবিহীন রাজনীতি দেখতে চাই। এ সমাবেশের সাথে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেটি ছিল-কোনো রকম সংঘাত তৈরি হবে কি না। মনে হয়েছে-উভয় পক্ষ একটি সমঝোতার ভিত্তিতে সমাবেশ করেছে।”

পুলিশের সঙ্গে আলোচনা, সভার স্থান পরিদর্শন- এসব সমঝোতারই প্রকাশ বলে মনে করেন তিনি।

‘সবাই নির্বাচনমুখী রাজনীতি দেখতে চায়’, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তার মত স্বস্তির কথা জানিয়েছেন অন্যরাও। রূপনগরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহিদ পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চারদিন ধরে টেনশনে ছিলাম। বড় ধরনের কিছু হবে বলে আশঙ্কা করছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি বলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

“নির্বাচনের আরও এক বছর বাকি আছে। এত আগে থেকে মারামারি, ধরাধরির রাজনীতি শুরু হলে আমার মত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি।”

দেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি দেখার আশার কথাও জানান তিনি।

নয়া পল্টনের পাশে শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জীবনও গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহে শনিবার পরিস্থিতি ‘উত্তপ্ত’ হতে পারে বলে আশঙ্কায় ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সকালে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাইনি। তারপরও দেখি বাসার সামনের গলিতে পুলিশের গাড়ি ঘোরাফেরা করে। রাত নাগাদ পরিস্থিতি শান্তই ছিল। কতদিনের জন্য গণ্ডগোল লেগে যায়, সেই আশঙ্কার মধ্যে ছিলাম অফিসের সবাই। শেষ পর্যন্ত মনে হয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।“

শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে এমন পরিস্থিতি হুট করে তৈরি হয়নি। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলো থেকে সরকারের তুমুল সমালোচনা ও বিষোদগারের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের পাল্টা জবাবের কথার লড়াই জমে ওঠে বেশকিছু দিন ধরেই। ‘খেলা হবে’ শ্লোগানের মধ্যে বিরোধীদলটির ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ঘোষণা আরও উত্তাপ ছড়ায়। এরপর সমাবেশের স্থান নয়া পল্টন নির্ধারণ করা নিয়ে টানাপড়েন শেষ না হতেই বুধবারের সংঘর্ষ উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দেয়।

সেদিন নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপিকর্মীদের উপর চড়াও হয় পুলিশ। তখন সংঘর্ষে নিহত হয় একজন, আহত হয় অনেকে।

এরপর পুলিশ তল্লাশি চালাতে ঢুকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, সেখান থেকে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকশ’ নেতা-কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে।

সমাবেশের স্থান নিয়ে নাটকীয়তা তখনও চলতে থাকে। আগের দিন বিকালে সায়েদাবাদের পাশের গোলাপবাগ মাঠটিতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

কানায় কানায় ভরা মাঠ পেরিয়ে আশেপাশের সড়কে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সেই সমাবেশ শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়; পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের পাহারা আর জোরালো অবস্থানের মধ্যে নির্বিঘ্নেই ঘরে ফেরেন সবাই।

সমাবেশের সময় সকালে হলেও আগের দিন বিকাল থেকেই ভরে যেতে থাকে গোলাপবাগ মাঠ। নেতাকর্মীরা সেখানেই রাত কাটিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি নেন। সকাল ১১টায় সমাবেশস্থলে জায়গা না পেয়ে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে যান আশেপাশের সড়কে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বন্দি থাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১০ দফা ঘোষণা করে বলেন, “এই ১০ দফা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দফা। এই দাবি জনগণের দাবি, এটা মানুষের দাবি।

“আমরা এদেশের সকল জনগণকে এই ১০ দফা দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আগামী ২৪ ডিসেম্বরে গণমিছিলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

দলটির দাবির মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, রাজনৈতিক কারাবন্দীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরা হয়।

এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্যদের সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা আসে।

সোচ্চার ছিল আওয়ামী লীগও

এ ঘোষণা শোনার পর বিকালে সাভারে দলীয় সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, “বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলেন। আপনারা সাতজন গেলে জাতীয় সংসদ অচল হয়ে পড়বে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।”

“এই ভুলের জন্য অনুতাপ বিএনপিকেই করতে হবে।”

এসময় তিনি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, “নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে ১৬০ বস্তা চাল, হাঁড়ি-পাতিল, মশারি পাওয়া গেছে। এসব নিয়ে তারা পিকনিক খেলা শুরু করেছে। কোথা থেকে আসে এত টাকা?

কোন ব্যবসায়ী, কোন শিল্পপতি কতো টাকা দিয়েছেন, সে খবর জানেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “টাকা দিয়ে পিকনিক করাচ্ছে বিএনপি।“

এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে প্রবেশ পথসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিজেদের দখলে রেখে মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, "বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাসের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনের নামে সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে চলে গেছে; নস্যাৎ হয়ে গেছে।“

কড়া নিরাপত্তা, ক্ষণে ক্ষণে তল্লাশি

গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশের মধ্যেও নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। ওই এলাকায় নাশকতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা আবারও জানায় পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার দুপুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে বলেন, “এখানে যে কোনো ধরনের নাশকতা হতে পারে।…কিছু গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকে। তবে যদি অনুষ্ঠানটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়- এসব নিরাপত্তা বলয় উঠে যাবে। ঢাকা শহর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। এভাবে সবসময় থাকবে না।

“তিন দিন আগে যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে। আজ সমাবেশের পরেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে চলাচলের রাস্তা ও দোকানপাট খুলে দেওয়া যায় কি না। এটা একসময় উন্মুক্ত হয়ে যাবে, স্বাভাবিক হয়ে যাবে।"

পুরো নগরজুড়েই এদিন সড়কে টহল ও যাত্রীদের থামিয়ে পুলিশের তল্লাশি ছিল নিয়মিত ঘটনা। ঢাকায় ঢোকার মুখেও ছিল কড়াকড়ি পাহারা। ঢাকার মহাখালী টার্মিনালে সকাল থেকে ময়মনসিংহ বা উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বাস ঢুকতে দেখা যায়নি।

গণপরিবহনের অভাবে ভোগান্তি

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণে এদিন অন্য শনিবারের মত ঢাকার সড়কগুলোতে গণপরিবহন চলেনি। চিরচেনা যানজটও ছিল না। রাস্তায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশাতেই বেশি ভাড়া দিয়ে ছুটেছেন যাত্রীরা।

বাস না চলার বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, “মালিকরা চাইলেও যাত্রী না থাকায় গাড়ি চলছে না। আমরা গাড়ি চালাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুরে একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এজন্য মালিকরা গাড়ি বের করছেন না। আর যাত্রীও নেই। আতঙ্কে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না।”

গোলাপবাগের ভেতরে-বাইরে

বির্তক আর আলোচনার জন্ম দিয়ে শুক্রবার বিকালে সমাবেশের স্থান হিসেবে গোলাপবাগ ফুটবল মাঠকে বেছে নেয় বিএনপি। খবর জানাজানি হতেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।  

এ গণসমাবেশকে ঘিরে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক অবস্থায় মোতায়েন করা হয়। সাঁজোয়া যান, জল কামান, প্রিজন ভ্যানসহ বিভিন্ন যান রাখা ছিল বিভিন্ন সড়কের মোড়ে।

ওদিকে নগরজুড়ে নিজেদের সতর্ক অবস্থান জানান দিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। বিভিন্ন মোড় ও গলির মুখে তাদের লাঠিসোঁটা নিয়েও অবস্থান করতে দেখা যায় তাদের। তারা বিভিন্ন জনকে তল্লাশিও করছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন তল্লাশিতে পাঁচজনকে ধরে পুলিশে তুলে দেয় ছাত্রলীগ।

এরমধ্যে দুপুরে সবুজবাগের একটি ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্রলীগ ও বিএনপিকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনার মধ্যে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে সমাবেশস্থলে দুপুরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হলে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ। ‘ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে রাজপথে’ ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ সরকারের দমনপীড়ন ও গণবিরোধীকাজ তুলে ধরে বলেন, ‘‘অতীতে ৯টি সমাবেশ করেছি সেগুলো সরকার বাধার সৃষ্টি করেছে। ওই সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে উপস্থিত না হতে পারে তার ব্যবস্থা করেছে।”

তিনি বিএনপির ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সভাপতির বক্তব্যের মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ বলেন, ‘‘এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করে আপনারা আজকে সরকারকে সমুচিত জবাব দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই, সালাম জানাই।”

এর আগে সমাবেশে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে ঘোষণা দেন।

তারা হলেন- উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

এদের মধ্যে হারুন বিদেশে রয়েছেন। তিনি পদত্যাগপত্র সই করে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার জানান, বিএনপির কর্মীরা ঘরে যাওয়া পর্যন্ত নয়া পল্টনসহ পুরো রাজধানী এমন নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবে।