হাতে ধরে খেতে শেখালে শিশুর ইন্দ্রিয় দ্রুত বিকশিত হতে সাহায্য করে।
Published : 27 Apr 2025, 03:39 PM
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিটি ধাপেই খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন তারা বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধের বাইরে নতুন খাবারের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে।
তখন ফিঙ্গার ফুড বা আঙ্গুলে ধরা খাবার হয়ে ওঠে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই খাবার শুধুমাত্র খিদে মেটানোর উপায় নয়, বরং এটি শিশুর স্বাধীনভাবে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে এবং তাদের ইন্দ্রিয়ের বিকাশেও সহায়ক।
ফিঙ্গার ফুড বা আঙ্গুলে ধরা খাবার বলতে যা বোঝায়
“ফিঙ্গার ফুড হল এমন সব খাবার যেগুলো শিশুরা নিজের হাতে ধরে খেতে পারে। এগুলো সাধারণত ছোট ছোট আকারে কাটা হয়, যেন শিশু সহজেই মুখে নিতে পারে ও গিলে ফেলতে পারে”- বলেন পার্সোনা হেলথের পুষ্টিবিদ শওকত আরা।
এসব খাবার খেতে কোনো ধরনের চামচের প্রয়োজন হয় না। ‘ফিঙ্গার ফুড’ শিশুর ‘মোটর স্কিল’ বা নড়াচড়ার উন্নয়নে সাহায্য করে, যেমন পিনস গ্রিপ (আঙুল দিয়ে ধরা), হাত-চোখের সমন্বয় ও স্বনিয়ন্ত্রণ শেখা।
পুষ্টিবিদ শওকত আরা এ বিষয়ে দিয়েছেন নানান পরামর্শ।
কোন বয়স থেকে ‘ফিঙ্গার ফুড’ দেওয়া যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত শিশুর ৬ থেকে ৮ মাস বয়স থেকেই ধীরে ধীরে আঙ্গুলে ধরা খাবার খাওয়ানো শুরু করা যায়। তবে এটি নির্ভর করে শিশুর ব্যক্তিগত বিকাশের ওপর।
নিচের কিছু লক্ষণ দেখা গেলে বোঝা যায় শিশু আঙ্গুলে ধরা খাবার খেতে প্রস্তুত।
ফিঙ্গার ফুডের উপকারিতা
যেসব খাবার ফিঙ্গার ফুড হিসেবে দেওয়া যায়
আঙ্গুলে ধরা খাবার বেছে নেওয়ার সময় শিশু যেন সহজে চিবাতে গিলতে পারে, সেটা মাথায় রাখতে হয়।
কিছু বয়সভিত্তিক ফিঙ্গার ফুড রয়েছে যা শিশুর জন্য সহায়ক হতে পারে।
৬-৮ মাস বয়সে
৯-১২ মাস বয়সে
১২ মাস বা তার বেশি বয়সে
পুষ্টিবিদ শওকত আরা বলেন, “ফিঙ্গার ফুড’ শিশুর উন্নত হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। তবে খাবারে অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকলে একেকটি নতুন খাবার অন্তত তিন দিনের ব্যবধানে দেওয়া উচিত, যেন প্রতিক্রিয়া বোঝা যায়।”
“শিশুর জন্য ‘ফিঙ্গার ফুড’ বাছাই করার সময় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শক্ত বা ছোট গোল খাবার (যেমন- বাদাম, কাঁচা গাজর, আঙুর) গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই এগুলো একেবারে না দেওয়া ভালো”- পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
সতর্কতা ও পরামর্শ
আর পড়ুন