কথা বলা শেখাতে শিশুর সঙ্গে বার বার কথা বলতে হবে।
Published : 19 Feb 2023, 06:27 PM
বয়সের সঙ্গে শিশুর শব্দ উচ্চরণের মাত্রা বাড়লেও, কথা বলায় উন্নত করতে বাবা-মায়ের ভূমিকা রাখতে হয়।
আর বয়স অনুযায়ী পাল্টাতে হয় কৌশলগুলো।
এই বিষয়ে ভারতের শিশুর মানসিক ও পুষ্টিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. আতচারা ভেনাকাত্রামান টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “নবজাতক কান্নার মধ্য দিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। তার ক্ষুধা, বিরক্তি এমন যে কোনো কিছুই প্রকাশ করে কান্নার মাধ্যমে। অনেক সময় তারা কারণ ছাড়াই কান্না করে। আর কয়েক মাস পরে নতুন শব্দ শিখে আধো আধো বলার চেষ্টা করে।”
শিশুর দ্রুত কথা বলা শেখাতে সহায়ক এমন কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানান তিনি।
আপনার কাজের বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা
প্রথম ছয় মাস শিশুরা কন্ঠ ও দেহভঙ্গির সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করে। তাই সারদিন যে কাজই করেন না কেনো, শিশুর সঙ্গে কথা বলা, কী কাজ করছেন তা ব্যাখ্যা করে বলা ইত্যাদি শিশুর মনযোগ আকর্ষণ করে।
সে সাড়া দেয়, হাসে, হাত পা নাড়ে ইত্যাদি নানাভাবে শিশু কথার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়।
শিশুর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য, তার সঙ্গে সুরে সুরে কথা বলা, চোখে চোখ রেখে কথা বলা ইত্যাদি উপায় অনুসরণ করা যায়।
তিনবার পুনরাবৃতি করা
ডা. ভেনাকাত্রামানের মতে, “ভাষা শেখার আগে শিশুকে কমপক্ষে তিনবার করে শুনতে হয়। যেমন- কোনো একটা পেন্সিল দেখিয়ে শিশুকে তিনবার ভিন্নভাবে এর নাম বলার মাধ্যমে শিশু জিনিসটা চিনতে পারে।”
যেমন- “দেখ, এটা একটা পেন্সিল”, “আমি পেন্সিল দিয়ে লিখি”, “এটা হল পেন্সিল, তুমি একটা পেন্সিল ধরে আছো” ইত্যাদি।
বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া
সন্তানকে একাধিকের মধ্যে পছন্দ করার সুযোগ দিতে হবে। ছোট খাটো জিনিস যেমন- আপেল বা কমলা শিশুর সামনে রেখে সে কোনটা পছন্দ করে তা জানতে চান। দুতিনবার প্রশ্ন করে নিশ্চিত করে হতে হবে।
প্রতিদিন বই পড়া
ডা. ভেনাকাত্রামান বলেন, “অভিভাবকদের উচিত প্রতিদিন শিশুদের বই পড়ে শুনানো। এতে শিশু অনেক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বুঝতে পারে এবং তার সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। এছাড়াও বই পড়া শিশুর মনের শব্দভাণ্ডার বাড়ায়।”
আরও পড়ুন