Published : 28 Apr 2025, 10:42 AM
ইরানের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর বন্দর আব্বাসে শক্তিশালী বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবারের এ ঘটনায় ১২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট আগুন পুরোপুরি নেভাতে দমকল কর্মীরা কাজ করছেন।
বন্দরের শহীদ রাজী অংশে বিস্ফোরণের এই ঘটনাটি ঘটে। এটি ইরানের বৃহত্তম কন্টেইনার বন্দর। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড ধাক্কায় চারদিকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার জানালাগুলো ভেঙে পড়েছে, শিপিং কন্টেইনারগুলোর ধাতব ফিতা ছিঁড়ে ভেতরের মালামাল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রয়টার্স লিখেছে, ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফার পারমাণবিক আলোচনার মধ্যে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোববার রাতেও আগুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছিল, দমকল কর্মীরা হেলিকপ্টারসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছিল।
বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে বন্দরে থাকা রাসায়নিক বিস্ফোরণের ইন্ধন হিসেবে কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্ফোরণের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত কঠিন জ্বালানির ভুল ব্যবস্থাপনার যোগ থাকতে পারে, এমনটি বলা হলেও ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তা অস্বীকার করেছে।
মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে বলেছেন, এসব প্রতিবেদন ‘শত্রুর মনস্তাত্ত্বিক অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত, বন্দরের যে অংশে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সেখানে কোনো সামরিক পণ্য ছিল না।
আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থা ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে’র উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মার্চে শহীদ রাজী বন্দরে সোডিয়াম পারক্লোরেট এসেছিল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে ব্যবহৃত এ জ্বালানির ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে হয়তো এ বিস্ফোরণটি ঘটেছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের জানুয়ারির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দু’টি ইরানি জাহাজে করে চীন থেকে আনা এই উপাদান দিয়ে ২৬০টির মতো মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালানো সম্ভব। ইসরায়েলে ২০২৪ সালে ইরান সরাসরি যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তাতে স্টকে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতে এটি সাহায্য করবে।