অতিরিক্ত খাওয়ার পরে অস্বস্তি কমাতে

বেশি খাবার খেলে যে অস্বস্তি হয়, সেটা কাটাতে কিছু নিয়ম পালন করা উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2022, 12:44 PM
Updated : 29 Nov 2022, 12:44 PM

'অনাহারে নাহি খেদ বেশি খেলে বাড়ে মেদ’।

তারপরও মজাদার বা পছন্দের খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যায়। আর সেখান থেকে দেখা দেয় ফোলাভাব, অলসতা, পেট ব্যথা ও মোচড় দেওয়া ইত্যাদি।   

পছন্দের খাবার সামনে রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন। তাই চোখের খিদা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে পেটের অস্বস্তি কমানোও সহজ হবে।

আর অধিভোজনের পরে পেটে অস্বস্তি হওয়া বা অবসাদ দূর করতে কিছু পন্থাও রয়েছে।

আর্দ্রতা ধরে রাখা

স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের লেখক টেক্সাসের পুষ্টিবিদ এমি গুডসন এই বিষয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলনে, “উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া দেহে ফোলাভাব ও পেটভরা অনুভূতি সৃষ্টি করে।”

তাই ভারী খাবার খাওয়ার পরে নিজেকে আর্দ্র রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি আর্দ্রতার মাত্রা বাড়াতে বাড়তি পানীয় যোগ করা যেতে পারে।

এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে আটলান্টার যমজ পুষ্টিবিদ ট্যামি লাকাটোজ শেইমজ ও লেসি লাকাটোজ শেইমজ বলেন, “সারাদিন ধরে আর্দ্র থাকার জন্য পানিতে গোলানো লেবুর রসের সঙ্গে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ‘ডেটক্স ড্রিংক’ বেশ উপকারী। অথবা আদা-জলের সঙ্গে কমলার রস গ্রহণ করা যেতে পারে। এই ধরনের তরল অতিরিক্ত সোডিয়াম, চিনি ও খাবারের সঙ্গে পান করা পানীয় দেহ থেকে বের করে দিয়ে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।”

হাঁটতে যাওয়া

অতিরিক্ত খাওয়ার পরে তাৎক্ষণিক ভরাভাব কমাতে সবচেয়ে ভালো উপায় হল হাঁটা।

“হাঁটা মন শান্ত করে। হাঁটার মাধ্যমে ঘাম নিঃসরণ হলে তা শরীর থেকে কিছু রাসায়নিক উপাদান ও লবণ বের করে দেয়। ফলে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়ে”, বলেন ওই যমজ পুষ্টিবিদ।

হাঁটার ফলে ক্যালরি খরচ হয়। তাই বাড়তি খাবারের কারণে জমা বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে হাঁটা উপকারী।

হাঁটতে ইচ্ছা না হলে নড়াচড়া করার বিকল্প উপায় বের করার পরামর্শ দেন, গুডসন। সেটা হতে পারে ছোটদের সঙ্গে খেলাধুলা করা কিংবা ঘরেই পায়চারি করা।

সবজি খাওয়া

লেসি ও শেইমজ পরামর্শ দেন যে- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আঁশ বহুল খাবার প্রতিবেলার খাবারের পরে খেলে আরাম অনুভব করতে সাহায্য করে।

“আঁশ ধরনের সবুজ খাবার মলাশয় থেকে বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থ দূর করে আরাম অনুভূত হতে সাহায্য করে”, বলেন তারা।

ভারী ও বেশি খাবার খাওয়া হলে তার রেশ কাটাতে পরদিন সকালে স্বাস্থ্যকর ও সুষম নাস্তা খাওয়া যেতে পারে।

গুডসরে ভাষায়, “বেশি খাবার খাওয়ার পরদিন সকালে প্রোটিন ও আঁশবহুল নাস্তা খাওয়া রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”

ডিম ও ওটমিল বা শস্যের টোস্ট ও পিনাট বাটার সঙ্গে টক দই ইত্যাদি খাওয়া ভালো। এতে সারাদিন পেট ভরা অনুভূত হয়।

আরও পড়ুন:

Also Read: অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার পর যা খাওয়া যাবে না

Also Read: যেসব মিষ্টি খাবার ওজন কমানোতে সমস্যা করে না

Also Read: যেসব খাবারের বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ না