বেশি খাওয়ার অজানা কারণ

ভাবছেন খাচ্ছেন কম, আসলেই কি তাই! অনেক সময় নিজের অজান্তেও বেশি খাওয়া হয়ে যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2016, 01:25 PM
Updated : 18 July 2016, 09:01 AM

ইচ্ছা শক্তির অভাবের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা এরকম কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।

আবেগ: আবেগের তাড়না যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, মস্তিষ্ক তখন খাবারের মাধ্যমে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় করণীয় হতে পারে খাবারকে না বলা অথবা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।

না খেয়ে থাকা: ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে না খেয়ে থাকা অনেক সময় প্রয়োজনের চাইতে বেশি খেয়ে ফেলার একটি কারণ হয়ে দাড়ায়। অতিরিক্ত ‘ডায়েটিং’য়ের কারণে মস্তিষ্কের খাদ্য চাহিদা অপূর্ণ থেকে যায়। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ঘণ্টা পর অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া যেতে পারে।

অপর্যাপ্ত পানি: শরীরের পানির চাহিদা পূরণ না হলে ক্ষুধা বাড়ে। ফলে খাওয়ার পরিমাণও বাড়ে। তৃষ্ণার সঙ্গে ক্ষুধার অনুভুতিকে গুলিয়ে ফেলার প্রবনতা রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই শরীরের পানির অভাব থাকলে ঘন ঘন ক্ষুধা অনুভুত হতে পারে।

চিবিয়ে খাওয়া: ভালোভাবে হজম হওয়ার জন্য খাবার ভালোভাবে চিবানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে না চিবিয়ে, গিলে ফেললে বেশি খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বেশি খাওয়ার অভ্যাস: দীর্ঘদিন ধরে বেশি খেতে থাকলে শরীর এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। এই অভ্যাস দুর করা কঠিন। তবে একবার অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারলে নতুন জীবনযাত্রার সঙ্গেও শরীর মানিয়ে নিতে পারবে।

হরমোন: ‘গ্লুকাগন’-জাতীয় হরমোন ‘পেপটাইড-ওয়ান’ বা ‘জিএলপি-ওয়ান’য়ের অভাব বেশি খাওয়ার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে বাড়তি চর্বিযুক্ত খাবার। এই হরমোন মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড সিস্টেম’ নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই হরমোনের অভাবে পাকস্থলি হয়ে উঠতে পারে তলাহীন কুয়ার মতো। তবে নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে আপনার ইচ্ছা শক্তির উপর।

অপর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাবে পেট ভরা অনুভুতির জন্য দায়ি হরমোন ‘লেপ্টিন’য়ের পরিমাণ কমে যায়। পাশাপাশি ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য দায়ি হরমোন ‘ঘ্রেলিন’য়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

ছবি: রয়টার্স।