যেসব মিষ্টি খাবার ওজন কমানোতে সমস্যা করে না

রয়েছে মজাদার কিছু মিষ্টান্ন যা ওজন কমানোতে লক্ষ্যভ্রষ্ট করবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2021, 12:03 PM
Updated : 27 June 2021, 12:03 PM

মিষ্টি খাবার অস্বাস্থ্যকর। এরকম ধারণাই সবসময় দেওয়া হয়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েটিশিয়ান শেরল মুসাত্তো বলেন, “মিষ্টি খাবার মানেই অস্বাস্থ্যকর খাবার নয়। পুষ্টিকর মিষ্টি খাবার ওজন কমানোর পাশাপাশি মিষ্টির চাহিদা পূরণ করতেও সহায়তা করে।”

‘ইটদিস, নট দ্যাট ডটকম’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেরকমই কিছু মিষ্টি খাবারের নাম জানিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ।

শক্তি বাড়ায় এমন খাবার

মুসাত্তো বলেন, “মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হলে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোকোয়া, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পিনাট বাটার, শস্য, আঁশ সমৃদ্ধ বাদাম, পুষ্টিকর খেজুর খাওয়া যায়। এগুলো মিষ্টি খাবারের চাহিদার পাশাপাশি পুষ্টি যোগাতেও সহায়তা করে।”

উচ্চ আঁশযুক্ত বিস্কুট বা আইস ক্রিম

উচ্চ আঁশযুক্ত মিষ্টান্ন ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের চাহিদাও পূরণ করে।

‘আপলিফট ফুড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা পুষ্টিবিদ কারা ল্যান্ডাউ বলেন, “আঁশ মস্তিষ্কে পেট ভরা রাখার হরমোনকে সক্রিয় রাখে তাই ঘন ঘন খাবারের প্রয়োজন হয় না। উচ্চ আঁশ-জাতীয় আইসক্রিম, বেরি দেওয়া দই, আঁশ সমৃদ্ধ বিস্কুট পেট ভরা রাখে এবং উপকারীও বটে।”

ডার্ক চকলেট

আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ যা ক্ষুধা কমায় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের ‘চিয়ারফুল চয়েজ’-এর রেসিপি বিকাশকারী ও নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ম্যাকেঞ্জি বারগেস।

তিনি বলেন, “কোকোয়ার পরিমাণ বেশি হওয়া উপকারী। কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম ও আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে। কাঠ বাদাম বা দইয়ের সঙ্গে পছন্দের ডার্ক চকলেট খাওয়া বাড়তি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।”

প্রোটিন কেক

পিনাট বাটার, চকলেট চিপস ও কলা দিয়ে প্রোটিন কেক তৈরি করা যায় বলে জানান, বারগেস।

চাইলে এতে প্রোটিন পাউডার, ভ্যানিলা, নারকেল বা ডার্ক চকলেট যোগ করে স্বাদ বাড়ানো যায়।

ফলের সঙ্গে হুইপড ক্রিম বা দই

‘টেস্টিং ডটকম’য়ের স্বাদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিচি-লি হটজ বলেন, “কম ক্যালরির হুইপড ক্রিমের সঙ্গে ফল যেমন- আঙ্গুর ও নানা রকমের বাদাম যেমন- কাঠ বাদাম মিশিয়ে উপরে ডার্ক, টক দই বা সামান্য মধু দিয়ে পরিবেশন করে খাওয়া যায়।

এগুলো কার্বোহাইড্রেইট, প্রোটিন ও সামান্য চর্বিযুক্ত। যা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও ক্ষুধা নিবারণ করে।

আর বেরি-জাতীয় ফল নির্বাচন করা আদর্শ।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পুষ্টিবিদ টালিয়া সিগাল ফিডলারের ভাষায়, “বেরি খাবারে স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়ায় এবং এর প্রদাহরোধী ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ইন্সুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।  এছাড়াও অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে বেরি কার্যকর।”

বেইক করা আপেল ও বাদাম

‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ বইয়ের লেখক এবং ‘নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি’র পুষ্টি-বিষয়ক অধ্যাপক লিসা ইয়ং বলেন, “আপেল বেইক করে ওপরে আখরোট যোগ করে খেতে পারেন। আপেল আঁশ ও বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। স্বাদ বাড়াতে এর ওপরে স্ট্রবেরি, ডার্ক চকলেট বা বাদামের মাখন ব্যবহার করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন