ভারতের দক্ষিণি সিনেমায় রজনীকান্ত মানেই ছবি সুপারহিট। তাই ‘নির্ভয়ে’ তার পেছনে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করতে রাজি যে কোনো প্রযোজক। যার সিনেমা মুক্তির দিন ছুটি ঘোষণা করা হয় দক্ষিণ ভারতে। সেই মহাতারকা সিনেমা ছেড়ে দেবেন বলে খবর এসেছে।
পিংকভিলা জানিয়েছে, দক্ষিণের পরিচালক লোকেশ কানাগরাজের নির্মাণে জীবনের ১৭১তম সিনেমাটি করে ৪৮ বছরের ক্যারিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন রজনীকান্ত।
এই খবর পিংকভিলাকে দিয়েছেন তামিল সিনেমা নির্মাতা ও অভিনেতা মিশকিন ।
তিনি জানিয়েছেন, একজন পেশাদার অভিনেতা হিসাবে নিজের শেষ অধ্যায় যাতে নিখুঁত হয়, সব রকমভাবে তা নিশ্চিত করতে চাইছেন ‘থালাইভা’ খ্যাত এই অভিনেতা।
“রজনীকান্ত নিজে থেকেই কানাগরাজের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন,” বলেন মিশকিন।
যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে রজনীকান্ত নিজে থেকে কিছু জানাননি।
এদিকে রজনীকান্তের বর্তমান ব্যস্ততা তার মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের পরিচালনায় ‘লাল সালাম’ সিনেমা নিয়ে। ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের গল্পের এই সিনেমায় রজনীকান্তকে পাওয়া যাবে ‘মঈদীন ভাই’ নামের এক চরিত্রে।
৭২ বছর বয়সী রজনীকান্তকে আগামীতে দেখা যাবে ‘জেলার’ সিনেমাতেও। এর আগে তার শেষ সিনেমা ছিল ‘আন্নাথে’।
পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে শুরুর জীবনে কুলি, দিনমজুর ও বাস কন্ডাক্টরের মত কাজও করতে হয়েছে রজনীকান্তকে। পাশাপাশি পাড়ার নাটকেও চালিয়ে যেতেন শখের অভিনয়।
পরে এক বন্ধুর সহায়তায় মাদ্রাজ ফিল্ম স্কুলে অভিনয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। সেখান থেকেই নজরে পড়েন সে সময়ের খ্যাতিমান পরিচালক কে. বালাচরণের।
১৯৭৫ সালে কে. বালাচরণের ‘অপূর্ব রাগাঙ্গল’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল সিনেমায় অভিষেক ঘটে ‘থালাইভা’র। প্রথম সিনেমাতেই আসে জনপ্রিয়তা। এরপর একের পর এক সিনেমা করে দক্ষিণী সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে দেখা যায় তাকে।
নিপিড়ীত কৃষক, দিনমজুর ও কুলিসহ নিম্নবিত্ত ও শোষিত শ্রেণির প্রতিবাদী চরিত্রে অভিনয় করেজনপ্রিয়তা পেলেও সব ধরনের চরিত্রেই মানিয়ে যান ৭৩ বছর বয়সী রজনীকান্ত।
পুরনো খবর: