এর আগে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে একটি সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল।
Published : 16 Apr 2025, 09:56 PM
ব্যাংকিংখাতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য প্রতি তিন মাস পর ব্যাংকগুলোকে আরও বিস্তারিতভাবে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম, পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট বিরতিতে এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠাতে হবে।
ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিষয়ে অধিকতর তথ্য জানানোর এ নির্দেশনা বুধবার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে একটি সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল।
ওই সার্কুলারে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের চিহ্নিত করতে আলাদা ইউনিট গঠন এবং এমন খেলাপিদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেগুলো ঠিক করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন তাদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হল।
সবশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করছেন, এসব খেলাপিদের মধ্যে একটি বড় অংশ ইচ্ছাকৃত খেলাপি, যারা ব্যাংক থেকে নানা কায়দায় টাকা বের করে নিয়ে আর ফেরত দেন না।
নতুন সার্কুলারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন আনা হয়েছে।
এতে এমন খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণের অর্থ পরিশোধ না করে খেলাপি হওয়া গ্রাহকদের ব্যাংক শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তাদের যাবতীয় তথ্য সিআইবিতে পাঠাবে। তাদের ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে সিআইবিকে দেখাতে হবে।
এমন খেলাপির ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে তিন মাস শেষ হওয়ার পরের মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও সঙ্গে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে এমন ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল দিতে হবে। এজন্য নমুনা ফরমও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
এতে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে- এসব তথ্য দিতে হবে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য সার্কুলারে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
শীর্ষ খেলাপি এখন বেক্সিমকো, এস আলম: ৫ ব্যাংকে ১০ গ্রুপেরই ৫২০০০ কোটি আটকে
খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই
খেলাপিদের ঋণমুক্ত হতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু এপ্রিলেই, থাকছে যেসব ব্যবস্থা