প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের তথ্য প্রতিবেদন আকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিবিআইতে জমা দিতে হবে।
Published : 21 May 2024, 11:48 PM
আগামী জুনের মধ্যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তথ্য শনাক্ত করে তালিকা জমা দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য আগামী ১ জুলাই থেকে সিআইবির তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ অথবা তালিকা আকারে জমা করতে হবে।
খেলাপিদের তিন ভাগে ভাগ করতে নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শুধু খেলাপি হলে ‘ওয়াই’, ইচ্ছাকৃত না হলে ‘নো’ এবং ইচ্ছাকৃত হলে তাকে ‘ডব্লিউ’ দিয়ে শনাক্ত করতে হবে।
প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের তথ্য প্রতিবেদন আকারে সিবিআইতে জমা দিতে হবে।
এর আগে গত মার্চে একবার প্রজ্ঞাপন দিয়ে এপ্রিল থেকে খেলাপিদের শ্রেণিকৃত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখান থেকে সরে এসে দ্বিতীয় দফায় প্রজ্ঞাপন দিয়ে সেই সময় জুন পর্যন্ত বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অবশ্য মার্চের নির্দেশনা পেয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ খুলেছে প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দুই ধাপ নিচের কোনো কর্মকর্তাকে ইউনিট প্রধান করা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, ব্যাংকঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ‘সংজ্ঞা’ অনুযায়ী যারা ‘ইচ্ছাকৃত’ খেলাপি হিসেবে শনাক্ত হবেন, তারা বিদেশ ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স, শেয়ারবাজারে প্রবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা’র কবলে পড়বেন।
এদিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও কঠোর হওয়ার আভাস মিলেছে। এর অংশ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার দিনই খেলাপির বিরুদ্ধে সিআইবিতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু এপ্রিলেই, থাকছে যেসব ব্যবস্থা