“তাদের সঙ্গে জলদস্যুরা ভালো আচরণ করছে। তবে জাহাজে পানি কমে গেছে,” আটক এক প্রকৌশলী তার মাকে বলেছেন।
Published : 10 Apr 2024, 09:49 PM
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ’র বাংলাদেশি ২৩ নাবিক জাহাজেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন; পরিবারের সদস্যদের এখন পর্যন্ত ভালো থাকার কথা বলেছেন।
অন্যান্য দেশের মতো বুধবার সোমালিয়ায় ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। দেশটির উপকূলে জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজটিতেই নাবিকেরা নামাজ আদায় শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নাবিকদের কেউ কেউ তাদের নামাজ আদায়ের ছবি পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। জিম্মি নাবিকেরা তাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবরও নেন।
এমভি আবদুল্লাহে জিম্মি এক প্রকৌশলীর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তার ছেলেসহ জিম্মিদের নামাজ আদায়ের তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “আমার ছেলে বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মেসেজ দিয়েছে, ছবিও পাঠিয়েছে। তারা ভালো আছে এবং ঈদের নামাজও আদায় করেছে।“
নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া ওই নাবিকের মা বলেন, তাদের সঙ্গে জলদস্যুরা ভালো আচরণ করছে। তবে জাহাজে পানি কমে গেছে।
গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে পৌঁছানোর পর বারবার জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ছিনতাইয়ের নয় দিনের মাথায় জলদস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় জাহাজের মালিকপক্ষের।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জিম্মিদশায় থাকা আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা জাহাজেই ঈদ পালন করেছেন।
কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি জাহান মণি নামের আরেকটি জাহাজ ২০১০ সালে সোমালি জলদস্যুরা ছিনিয়ে নিলে সেটি ১০০ দিন পর মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার করা হয়েছিল।