অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে, বলেন ইউএনও।
Published : 20 Apr 2025, 07:43 PM
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষ বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নড়িয়া পৌর শহরে ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান।
নিলাম পেয়ে গত ৬ এপ্রিল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা শুরু করেন ঠিকাদার নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল।
বৈধতা না থাকলেও তার লোকজন নিলাম বহির্ভূতভাবে নদীর মধ্য থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহম্মেদ ঝিন্টু ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এসএম ফয়সালের অনুসারীরা অবৈধভাবে রয়েলের বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেন।
নদীর তলদেশ থেকে বালু কাটা বন্ধে উপজেলা চত্বরে সকাল সাড়ে ১০টায় এসএম ফয়সাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহম্মেদ ঝিন্টু, কলাবাগান থানা মহিলা দলের সভাপতি শামিমা জাহান সাথীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, একই সময় একই স্থানে ফরিদ আহমেদ রয়েলের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয় বালু কাটার পক্ষে।
বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
মহিউদ্দিন আহম্মেদ ঝিন্টু অভিযোগ করে বলেন, “একটি মহল নিলামের বাইরে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করছে। এতে নড়িয়ার নদীরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে পড়বে। আমরা চাই, দ্রুত অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করা হোক।”
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল মাঝি বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাটি উত্তোলন করব। যারা নিলাম পায়নি তারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে লোকজনকে বিভ্রান্ত করছে। এছাড়া আমাদের লোকদের বলে দিয়েছি, তারা যেন সঠিক নিয়মে মাটি কাটে। আমরা সব সময় বিষয়গুলো তদারকি করছি।”
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নড়িয়া পৌর এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি আছে। সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন আছে।”