দুই বৈঠকেরই মূল বিষয় ছিল নির্বাচন ও সংস্কার
Published : 20 Apr 2025, 11:11 PM
সংসদ নির্বাচন রোডম্যাপের দাবিতে কী করণীয় তা ঠিক করতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক’ এবং গণ অধিকার পরিষদের সাথে ‘আনুষ্ঠানিক’ বৈঠক করেছে বিএনপি।
রোববার বিকাল ৪টায় বনানীর হোটেল সারিনায় সিপিবি ও বাসদের সঙ্গে বিএনপির অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক হয় গণ অধিকার পরিষদের সাথে।
অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন ছিলেন।
বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ছিলেন।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “এটা একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। নির্বাচন, সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দরকার। সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের ওপরেই ছেড়ে দিতে হবে।”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রবকত উল্লাহ বুলু বলেন, তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
“বাম রাজনৈতিক দল দুটির সাথে আজকে আমরা আলোচনা করেছি। নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হযেছে।”
সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। সেখানে পরবর্তী করনীয় নিয়ে আলোচনা করেন নেতৃবৃন্দ।
এই বৈঠকেও বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের আমীর খসরু বলেন, “আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে সবাই মতামত দিয়েছে। সবাই বলেছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হবে।
“সবার সংস্কার প্রস্তাব জমা হয়েছে, সেটা চূড়ান্ত করার জন্য এক সাপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সেটা নির্ধারণ করে যেখানে যেখানে ঐকমত্য হয়েছে সেই ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সনদে সই করে নির্বাচনের দিনকাল ঘোষণা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ারও দরকার হয় না, ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব।”