তবে ‘আওয়ামী লিগ’ নামে এক ব্যক্তি দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দিলেও তা তালিকায় রাখেনি ইসি সচিবালয়।
Published : 21 Apr 2025, 01:18 AM
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও নানা নামের রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে; যেগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি’ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ‘জনতার কথা বলে’, ‘নিউক্লিয়াস পার্টি বাংলাদেশ’, ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’।
আবেদন জমা দেওয়া দলের মধ্যে আরও রয়েছে ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’, ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, ‘বাংলাদেশ জনগণের দল’ (বাজদ) ও ‘বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ’ এর মত ৪৬টি নতুন রাজনৈতিক দল।
নিবন্ধন পেতে এসব দলের পাশাপাশি সময় বাড়ানোর জন্যও নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে ৬৫টি দল।
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন রোববার দল নিবন্ধনের সময় আরও দুই মাস বাড়িয়েছে।
আগামী ২২ জুনের মধ্যে বিদ্যমান আইনের নিবন্ধন শর্তপূরণ করে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে ইসি।
এর আগে ১০ মার্চ জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির পর নির্ধারিত সময় ২০ এপ্রিলের মধ্যে শতাধিক দলের আবেদন পড়ে কমিশনে।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, এরমধ্যে সময় বাড়ানোর আবেদন পড়েছে ৬৫টি আর নিবন্ধনের আবেদন করেছে ৪৬টি দল। এ সময়ের আলোচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি নিবন্ধনের সময় অন্তত তিন মাস বাড়ানোর দাবি জানায়।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “অনেক দলের নিবন্ধনে সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ মাস সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।”
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, ২২ জুনের মধ্যে আগ্রহী সব দলের আবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাছাইয়ে নামবে ইসি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেশ কিছু নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি অতীতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করা অনেক দলও এবার চেষ্টা করছে নিবন্ধনের।
তবে এবার প্রথম আবেদন করা উজ্জ্বল রায় নামের এক ব্যক্তির ‘আওয়ামী লিগ’ নামের দল নিবন্ধন আবেদন আমলে নেয়নি ইসি। অসম্পূর্ণভাবে শুধু একটি ফরমে আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি।
নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসির নিবন্ধনের শর্ত হল- দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানার প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল দেখাতে হবে।
>> আবেদন যাচাই-বাছাই করে আইন, নীতিমালা ও তথ্য পূর্ণ করতে পারলে তা মাঠ পযায়ে বাছাই করা হয়; শর্ত পূরণ না করলে আবেদন বাতিল করা হয়।
>> মাঠে তদন্তের জন্য যেসব দল থাকবে, তারা যে তথ্য দিয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে ইসিতে প্রতিবেদন প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে কাদের নিবন্ধন দেওয়া যায়।
২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন আইনি সংস্কার এনে নিবন্ধন প্রথা চালু করে। তাতে তিনটি নিবন্ধন শর্ত দেওয়া হয়। ভোটে নিবন্ধিত দলগুলোকেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।
বিগত চার সংসদ নির্বাচন মিলে এ পর্যন্ত ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। বাতিল হওয়া ৫টি বাদে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে ৫০টি দল।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৮টি আবেদন পড়েছিল।
আবেদনকারী ও সময় বাড়ানোর দলগুলোর তালিকা হচ্ছে
বাংলাদেশ সংরক্ষণশীল দল (বিসিপি)।
জনতা কংগ্রেস দল।
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি।
বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা)।
বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি।
বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল।
বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি।
বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি।
জাস্টিস পাটি বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি।
বাংলাদেশ বেকার সমাজ ।
বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ)।
বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ।
কৃষক শ্রমিক পাটি (কে এস পি) ।
জনতার কথা বলে।
ভাসানী জনশক্তি পাটি।
বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন।
বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ)।
ফরোয়ার্ড পার্টি-Forward party।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টি ।
স্বাধীন জনতা পাটি।
আমজনতার দল ।
বাংলাদেশ শান্তির দল ।
সংবিধান বিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন।
মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) ।
বাংলাদেশ গণঅভিযাত্রা দল।
বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি ।
ন্যাশনাল লেবার পাটি ।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ)।
জনতা মহাজোট বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ জনতার ঐক্য।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল।
নিউক্লিয়াস পার্টি।
ইউনাইটেড বাংলাদেশ পার্টি।
জাতীয় জনতা পাটি।
বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল।
বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি।
বাংলাদেশ পাক পাঞ্জাতন পার্টি।
সাধারণ জনতা পাটি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি।
ন্যাপ ভাসানী
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি।
জাতীয় পেশাজীবী দল
বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট।
বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পাটি।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটি।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি।
National Republican party।
বাংলাদেশ জনজোট পার্টি ।
বাংলাদেশ জনমত পার্টি।
বাংলাদেশ জনগণের পাটি।
অহিংস গণ আন্দোলন।
মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন।
জনতার বাংলাদেশ পাটি ।
মৌলিক বাংলা।
বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভোলপমেন্ট পাটি।
বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি (বিএনএলপি)।
বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি।
নতুন বাংলা।
সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট।
আমজনতার দল।
বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ।
লেবার পার্টি বাংলাদেশ (এলপিপি)।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
বাংলাদেশ EVIRONMENT GREEN পার্টি ।
আমার দেশ আমার অধিকার পার্টি (এডিএপি)।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পাটি।
বাংলাদেশ একুশে পাটি।
গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি)।
বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পাটি।
বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি)।
বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি।
গনতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি-ডিসিপি।
বাংলাদেশ সমতা পাটি
ভাসানী জনশক্তি পার্টি।
বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।
জাতীয় নাগরিক পাটি। (এনসিপি)।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
গণদল।
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি।
বাংলাদেশ নাগরিক দর।
বাংলাদেশ নেজামী ইসলাম পার্টি।
বাংলাদেশ জাস্টিস মুভমেন্ট।
সম্মালিত ঐক্যজোট ইসলাম ।
সংবিধান বিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন।
সম্মিলিত নাগরিক পার্টি।
মাতৃভূমি পার্টি।
বাংলাদশ শ্রমজীবী।
ডেমোক্রেটিক লীগ ।
বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল।
বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ।
বাংলাদেশ পাক পাঞ্জাতন পার্টি।
জনস্বার্থে বাংলাদেশ।
স্বাধীন জনতা পাটি।
ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটি।
বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ)।
বাংলাদেশ গণ আজাদী পাটি।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টি ।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পার্টি।
বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পাটি।
গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি।
আমজনতার দল।
আরও পড়ুন
দল নিবন্ধন: আবেদনের সময় বাড়ল ২ মাস
নিবন্ধন প্রত্যাশী ৮১ আবেদন বাদ, মাঠ পর্যায়ে তথ্য যাচাই ১২ দলের
নিবন্ধন: আগ্রহী দলের আবেদনের শেষ সময় ২০ এপ্রিল
আরপিও-আচরণবিধিতে কী সংস্কার চায় ইসি
রোডম্যাপের আগেই নির্বাচন নিয়ে ইসির তৎপরতায় এনসিপির 'সন্দেহ'