"এপিআই আমদানিনির্ভর হওয়ায় ওষুধের দাম কমানো ও রপ্তানির বাজার ধরা কঠিন হয়ে উঠবে।"
Published : 21 Apr 2025, 11:00 PM
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ ঘটলে দেশের ওষুধ শিল্প বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সোমবার রাজধানীতে এক কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় পাওয়া যায়, যেগুলো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে থাকবে না। বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতাও বেড়ে যাবে।
তেজগাঁওয়ে ‘জার্নি অব বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি' শিরোনামে এ কর্মশালা হয়। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
এতে বাংলাদেশে ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ডা. মুহাম্মদ জাকির হোসেন দেশের ওষুধ শিল্পের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বেশকিছু বিষয়ে ছাড় পায়। মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছালে এসব ছাড় আর থাকবে না।
"তখন মাদার কোম্পানি থেকে তাদের চাহিদামত দামে এপিআই কিনতে হবে। এর প্রভাব পড়বে ওষুধের বাজারে; বেড়ে যাবে ওষুধের দাম। তাই আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে এপিআই উৎপাদনে নজর দিতে হবে। এছাড়া প্যাটেন্টেড ওষুধ তৈরি করতে হলে এখন থেকে ওষুধগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে করিয়ে নিতে হবে।"
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, “ওষুধ তৈরিতে ৪০০ ধরনের কাঁচামাল প্রয়োজন। দেশের ২১টি কোম্পানি ওষুধ তৈরির ৪১ ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান (এপিআই) উৎপাদন করে। তাই ওষুধ তৈরি করতে কোম্পানিগুলোকে ৮০ শতাংশ এপিআই আমদানি করতে হয়।
"এপিআই আমদানিনির্ভর হওয়ায় দেশে ওষুধের দাম কমানো ও রপ্তানির বাজার ধরা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।"
এসিআই হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মহিবুজ্জামান বলেন, “মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধ শিল্প পার্কে ৪২টি প্লট ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। ১৫টি কোম্পানি সেখানে উৎপাদনে যাবে। বাকিরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একীভূত হবে।
“এপিআই উৎপাদনে যেতে চারটি সংস্থার অনুমোদন লাগে। এগুলোকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস করার জন্য বারবার আমরা বলেছি। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।"
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বক্তব্য রাখেন।