ক্রিকেট পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থক-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সবাই বলছিল, বাংলাদেশের বোলিং ভরসার নাম স্পিন। ঘূর্ণি বল দিয়েই ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারাবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। তবে সবার সব আলোচনা উড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেসাররাই জেতালেন বাংলাদেশকে।
Published : 09 Mar 2015, 08:12 PM
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে বাংলাদেশ
প্রশংসায় ভাসছেন ‘বিধ্বংসী’ রুবেল
ইংল্যান্ড কোচের মাহমুদুল্লাহ স্তুতি
স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাস মাহমুদুল্লাহর
ধারাবাহিকতায় সন্তুষ্টি অধিনায়কের
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে যাওয়া এই জয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ইংল্যান্ডকে ৪৮.৩ ওভারে অলআউট করে দেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। মইন আলি আর ক্রিস জর্ডানের রানআউট দুটি বাদ দিলে সবকটি উইকেটই পান বাংলাদেশের পেসাররা।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৭ ওভার বল করেন পেসাররা। এই সময়ে কোনো উইকেট না পেলেও খুব বেশি রানও দেননি তারা, দেন ৪৩ রান। লাইন আর লেন্থ ঠিক রেখে বল করেন তারা।
এরপর মাশরাফি বোলিং আক্রমণে আনেন স্পিনারদের। কিন্তু আরাফাত সানি আর সাকিব আল হাসান দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি। মাশরাফি আবার শরণাপন্ন হন তার পেস আক্রমণের।
প্রথম ৭ ওভার মাশরাফি নিজে আর রুবেল বল করেছিলেন। দ্বাদশ ওভারে মাশরাফি আক্রমণে আনেন তাসকিন আহমেদকে।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা ইয়ান বেলকে ২৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরান বাংলাদেশের সফলতম বোলার রুবেল।
২৭তম ওভারেই আবার অ্যাডিলেইড ওভালের সবুজ অঙ্গনে ঢেউ তোলেন রুবেল। দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে ওভারের চতুর্থ বলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানকে ফেরান তিনি।
জেমস টেইলরকে নিয়ে জো রুটকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি তাসকিন। টেইলরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আরও একটু স্বস্তি এনে দেন তিনি। ২৯.৪ ওভারে তখন ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩২ রান।
জস বাটলারকে নিয়ে ভালো একটি জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন রুট। তবে ইংল্যান্ডকে ভিত গড়তে দেননি মাশরাফি। তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে রুটকে ফেরান তিনি। ৩৫.৪ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর হয় ৬ উইকেটে ১৬৩।
এরপরও হেরে যাওয়ার শঙ্কার মেঘ কাটছিল না বাংলাদেশের আকাশ থেকে। ক্রিস ওকসকে নিয়ে বাটলার দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন। ১০.১ ওভারে গড়া দুজনের ৭৫ রানের জুটিটি ভাঙেন তাসকিন।
৯ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন। আর মাশরাফি ২ উইকেট নিতে ১০ ওভারে খরচ করেন ৪৮ রান।
৪৫.৫ ওভারে বাটলার আউট হওয়ার পরের বলেই রান আউট হন জর্ডান। আবার ম্যাচে ফেলে বাংলাদেশ।