প্রশংসায় ভাসছেন ‘বিধ্বংসী’ রুবেল

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে শেষ দিকে আগুন ঝরিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন। দলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে তুলতে দারুণ ভূমিকা রাখা এই পেসারের প্রশংসায় স্বাভাবিকভাবে পঞ্চমুখ হয়েছেন অধিনায়ক ও সতীর্থরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2015, 12:58 PM
Updated : 9 March 2015, 05:41 PM

অ্যাডিলেইড ওভালে সোমবার ইংল্যান্ডে বিপক্ষে বাংলাদেশের পাওয়া ১৫ রানের জয়ের ম্যাচে পেস গোলায় প্রতিপক্ষের চার ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রুবেল। ডানহাতি এই পেসার দিন শেষ করেন ৯.৩-০-৫৩-৪ বোলিং ফিগার নিয়ে।

ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় রুবেলের বোলিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, “সে মেধাবী বোলার; সে অসাধারণ বোলিং করেছে। মাঝের ওভারগুলোয় দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি শেষ দিকেও অসাধারণ বোলিং করেছে।”

বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে চার উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন রুবেল। ওয়ানডের বিশ্ব মঞ্চে এর আগে মাশরাফি ও শফিউল ইসলাম এক ম্যাচে চারটি করে উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষের বোলিং ফিগারই (৪/৫৩) রুবেলের বিশ্বকাপের সেরা। ২৫ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসারের আগের সেরা ছিল ২০১১ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ৩/৫৬।

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মাশরাফি একাধিকবার বলেন, রুবেলকে গতি ও সুইংটা কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যাশার প্রতিদান পেয়ে অধিনায়ক এখন আরো চাইছেন পেস বোলিং লাইনআপের এই অন্যতম সেরার কাছে, “সে চমৎকার বোলিং করেছে এবং আমি আশা করি, এটা সে ধরে রাখবে।”

ইনিংসের ২৭ তম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল। ৬৩ রান তুলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইয়ান বেলকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

ওই ওভারের চতুর্থ বলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন রুবেল। ডানহাতি এই পেসারের বলে সাকিব আল হাসানকে রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ১৬ রানের দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। রুবেলের গোলায় মর্গ্যানদের এ সহজ সমীকরণ এলোমেলো হয়ে যায় মুহূর্তেই। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে স্টুয়ার্ট ব্রডের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দেয়ার এক বল পর জেমস অ্যান্ডারসনের স্টাম্পও উড়িয়ে দেন রুবেল।

শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে এমন অসাধারণ বোলিং করা সতীর্থের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন অ্যাডিলেইডের ম্যাচ সেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও, “শেষ তিনটি বল রুবেল যেভাবে করেছে, তা আসলেই বিশেষ কিছু।”