তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন অভিজ্ঞ শামসুর রহমান, প্রিমিয়ারে টিকে থাকার আশা টিকিয়ে রাখল রূপগঞ্জ।
Published : 26 Apr 2024, 06:50 PM
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তলানির লড়াইয়ে সুবিধা করতে পারল না সিটি ক্লাব। আগেই অবনমন নিশ্চিত হওয়া দলটি রেলিগেশন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচেও হারল। শামসুর রহমানের চমৎকার সেঞ্চুরিতে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়াল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শুক্রবার ৬৭ রানে জিতেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। রেলিগেশন লিগের ম্যাচটিতে ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ৫৩ বল বাকি থাকতেই ১৭০ রানে গুটিয়ে গেছে সিটি ক্লাব।
রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির মুখোমুখি হবে রূপগঞ্জ টাইগার্স। দুই দলেরই ঝুলিতে সমান ৬ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচের জয়ীরা টিকে থাকবে প্রিমিয়ার লিগে। হেরে যাওয়া দল নেমে যাবে দ্বিতীয় বিভাগে।
প্রাথমিক পর্বের দুই জয় নিয়েই এবারের লিগ শেষ করল সিটি ক্লাব। তিন বছর পর আবার প্রথম বিভাগে খেলবে তারা।
রূপগঞ্জের আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়ে ১১৫ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন শামসুর। চলতি লিগে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রাথমিক পর্বে সিটি ক্লাবের বিপক্ষেই ১০৬ রান করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
সব মিলিয়ে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। দলের বড় জয়ে ম্যাচ সেরা তিনিই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জ টাইগার্সের মাহফিজুল ইসলাম ছাড়া কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৯১ রানে ৫ উইকেটের দলে পরিণত হয় তারা।
চাপ সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন শামসুর ও সালমান হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে ১৩৩ বলে গড়ে তোলেন ১৩০ রানের জুটি। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ বলে ৫৯ রান করে আউট হন সালমান।
৭৫ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ান শামসুর। ৩৮ বলে করেন পরের পঞ্চাশ রান। শেষ ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে সমাপ্তি ঘটে তার ৪ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসের।
সিটি ক্লাবের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন ইফরান হোসেন। দলের ব্যর্থতার টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগতভাবে তিনি দারুণ সফল। ১৩ ইনিংসে তার শিকার ২৪ উইকেট। লিগে এখন পর্যন্ত উইকেট শিকারের তালিকায় যৌথভাবে দুই নম্বরে ২৮ বছর বয়সী পেসার।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। স্রেফ ৫৫ রানে ৬ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। সপ্তম উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটি গড়েন খন্দকার মাহফুজুর রহমান ও মইনুল ইসলাম।
২টি করে চার-ছক্কায় ৪৬ বলে ২৯ রান করে ফেরেন মাহফুজুর। আট নম্বরে নামা মইনুল খেলেন ৬৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস। যা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯.৫ ওভারে ২৫৭ (মাহফিজুল ৩৩, জসিম ১১, মামুন ১৯, শামসুর ১০১, গালিব ৮, আরাফাত ২, সালমান ৫৯, সোহাগ ০, আরিফুল ৬, মহিউদ্দিন ৫, হাশিম ০*; ইফরান ৯.৫-০-৫১-৩, সোহেল ১০-০-৭১-১, মইনুল ইসলাম ১০-১-৪৬-২, রনি ৭-০-৩৪-১, মাহফুজুর ৩-০-১৯-০, রায়ান ১০-১-৩৩-১)
সিটি ক্লাব: ৪১.১ ওভারে ১৭০ (কফিল ০, জয়রাজ ১২, রায়ান ২০, আশিক ১২, মইনুল সোহেল ১০, সাজ্জাদুল ০, মাহফুজুর ২৯, মইনুল ইসলাম ৫২, ইফরান ৯, রনি ১৮ সোহেল ০*; আরিফুল ৬-২-৩৪-১, সোহাগ ১০-০-৩৪-৩, আরাফাত ৮-০-৩৪-১, হাশিম ৭-১-৩১-২, গালিব ৪-১-৪-০, মহিউদ্দিন ৪.১-০-২৪-৩, মামুন ২-০-৭-০)
ফল: রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৮৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শামসুর রহমান