বাংলাদেশ দলের অনেক জায়গাতেই এখন দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য হচ্ছে, কে কম খারাপ। কিংবা কে কম ব্যর্থ। এশিয়া কাপে ওপেনারদের টানা ব্যর্থতায় যেমন দলে সুযোগ পেলেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। দুজনের ওপরই এর আগে আস্থা হারিয়েছিলেন নির্বাচকরা।
Published : 21 Sep 2018, 09:35 PM
শুক্রবার সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থ হয়েছে। দুজনে ব্যর্থ হয়েছিলেন আগের দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। লিটন রান পাননি প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও।
ইমরুল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার সেই সফরে খুব একটা খারাপ করেননি ইমরুল। একটি ওয়ানডেতে ফিফটি করেছিলেন। তবে এরপর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর আর জায়গা পাচ্ছিলেন না।
সবশেষ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে ডাক পড়েছিল ইমরুলের। কিন্তু যেতে পারেননি পারিবারিক সমস্যায়। অনানুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে বলা হয়েছিল, তার শরীরী ভাষায় সন্তুষ্ট নয় দল। অন্যদের ব্যর্থতায় আবার তার দুয়ারেই ছুটতে হলো দলকে।
সৌম্যকে নিয়েও তার বাজে সময়ে যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছিল দল। কিন্তু প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। সবশেষ ৭ ওয়ানডেতে দু অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল একবার। জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময়টায় ঘরোয়া ক্রিকেট বা ‘এ’ দলের হয়ে করতে পারেননি আহামরি কিছু। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় তার দ্বারস্থ হলো বিসিবি।
দলে যোগ দিতে সৌম্য ও ইমরুলের ঢাকা ছাড়ার কথা শনিবার সন্ধ্যায়। পরদিনই আবু ধাবিতে বাংলাদেশের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ওয়ানডের বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।