সিলেবাসে ছিল কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চেহেল। কিন্তু পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে রবীন্দ্র জাদেজা! বাংলাদেশের ব্যাপারটি যেন ছিল এরকমই। মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, ম্যাচের আগে তাদের মূল ভাবনা ছিল দুই রিস্ট স্পিনারকে নিয়ে। কিন্তু জাদেজা ৪ উইকেট নিয়ে নেওয়ায় ভুগেছে বাংলাদেশ।
Published : 22 Sep 2018, 02:12 AM
ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াডে শুরুতে ছিলেন না জাদেজা। আগের ম্যাচে আকসার প্যাটেল চোট পাওয়ায় সুযোগ পান দলে। বৃহস্পতিবার যোগ দেন দলের সঙ্গে। শুক্রবার নেমে গেলেন মাঠে। একাদশে সুযোগ পেলেন চোট পাওয়া আরেক ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার বদলে। উড়ে এসে তিনিই উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের আশা।
শিকার শুরু করেছেন সাকিবকে আউট করে। পরে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনকে। পরে মোসাদ্দেক হোসেনকেও ফিরিয়ে পূর্ণ করেছেন চার উইকেট। ওয়ানডেতে চার উইকেট পেলেন তিনি চার বছর পর। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই পারফরম্যান্সে।
জাদেজার চার উইকেটের তিনটিই অবশ্য ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উপহার। সাকিব, মুশফিক ও মোসাদ্দেক বিলিয়ে এসেছেন উইকেট। মাশরাফি সেটি অস্বীকারও করছেন না। পাশাপাশি ইঙ্গিত দিলেন, জাদেজাকে নিয়ে খুব বেশি পরিকল্পনা ছিল না দলের।
“এভাবে বলতে পারেন (উইকেট উপহার দেওয়া)। সবাই যেভাবে আউট হয়েছে... শট খেলতে গিয়েই আউট হয়েছে। বিশেষ করে ওইসব মুহুর্তে। জুটি করে নিয়ে খেললে ২৫০-২৬০ হতে পারত। যদি দেখেন, ওদের রিস্ট স্পিনাররা কিন্তু আজ উইকেট পায়নি। জাদেজা হঠাৎ করে এসে চার উইকেট নিয়ে গেছে। সবই ব্যাটসম্যানের দোষে প্রায়।”
অধিনায়ক বেশি চিন্তিত টপ অর্ডারের দুর্দশা নিয়ে। পরপর দুই ম্যাচে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যাটিং, মাশরাফি তার দায় দিলেন টপ অর্ডারকে।
“পর পর দুই দিন ব্যাটিং ধসে পড়েছে। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে খুব কঠিন। প্রত্যেক ম্যাচেই দুই-তিনটা উইকেট পড়ে যাচ্ছে শুরুতে। এতে ড্রেসিং রুম কিছুটা চিন্তিত হয়ে যায়। প্রথম ম্যাচে আমরা সামলে নিতে পেরেছি। পরের ম্যাচে ওদের বিশ্বমানের কিছু বোলার ছিল, কাজটা ছিল কঠিন। আজকে হয়ত আবার আমরা জুটি করতে পারতাম। এখানে জুটিও হয়নি। এত উইকেট পড়াতে আসলে আমরা প্রথম ৩০ ওভারে খেলার বাইরে চলে গেছি।”