তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নানা প্রতিশ্রুতিতে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
Published : 05 May 2024, 09:36 AM
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও ‘বিএনপি’র তিন নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে।
উপজেলার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নির্বাচনে এবার তেমন সম্ভাবনাই ওঠে এসেছে।
১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ১৮ জনকে বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে।
২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজিদ উল্লাহ প্রধান লিল্টু এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রকিবুল হাসান।
২৩ এপ্রিল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৭ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান (মোটরসাইকেল প্রতীক), ছাত্রলীগের সহসভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. সাদ্দাম হোসেন (দোয়াত কলম), উপজেলা যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিম খান (আনারস) এবং আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সৈয়দ শামসুল ইসলাম বিপুল (ঘোড়া)।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার সবুজ (উড়োজাহাজ), উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. বিল্লাল হোসেন (বই), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রাজা (তালা), উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুছা (চশমা), শেখ কাওছার উদ্দীন (পালকি), সামছুক হক (টিয়া), মোহাম্মদ সাঈদ (মাইক) ও হাবিবুর রহমান (টিউবওয়েল)।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার চায়না (ফুটবল), সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (পদ্মফুল), সামছুন্নাহার দীনা (কলস) ও জোৎস্না শিকদার (হাঁস)।
তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নানা প্রতিশ্রুতিতে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন্দল চরমে ছিল। সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের পক্ষে দলের একটি অংশ নির্বাচন করেছিলেন৷
পক্ষান্তরে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান সরাসরি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন পর্দার আড়ালে থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে সমর্থন দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের সুসম্পর্ক থাকলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিলের আগে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
মমতাজ বেগমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন।
আবার মমতাজ বেগমের পক্ষে নির্বাচন করা দুজন চেয়ারম্যানও দেওয়ান সাইদুর রহমানের পক্ষে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
এক নজরে
# হরিরামপুর উপজেলায় এবার ১৭ প্রার্থী লড়াই করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
# উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৩৩৪ জন; নারী ভোটার ৭০ হাজার ২৩৪ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।
# প্রথম ধাপে ৮ মে মোট ৬৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
# ২০১৮ সালে অর্থাৎ পঞ্চম নির্বাচনে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দেওয়ান সাইদুর রহমান বিনাভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
# চতুর্থ উপজেলায় বিএনপিপন্থি সাইফুল হুদা চৌধুরী শাতিল এবং তৃতীয়বারে চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের দেওয়ান সাইদুর রহমান।
# দ্বিতীয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির তালিব হোসেন মাস্টার। আর প্রথমবার চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির শামসুদ্দিন আহমেদ (পরে স্বতন্ত্র এমপি হন ও আওয়ামী লীগে যোগ দেন)।
বয়ড়া, হারুকান্দি, বলড়া, ধুলসুরা, চালা, গালা, বাল্লা, গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর, কাঞ্চনপুর, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর, সুতালড়ি ইউনিয়ন নিয়ে ২৪৫ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনে পদ্মা নদী বেষ্টিত হরিরামপুর উপজেলা। ১৩টি ইউনিয়নের নয়টি ইউনিয়নে পদ্মা ভাঙন কবলিত। পদ্মার মাঝে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে লেছড়াগঞ্জ, সুতালড়ি ও আজিমনগর ইউনিয়ন রয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারে বিধিনিষেধ থাকলেও প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের মাঠে সরব ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারে মাত্রা বেড়েছে; দিনে এবং রাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সমর্থন পাচ্ছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সাদ্দাম হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দীন মো. সাদ্দাম হোসেনকে প্রার্থী করেছেন বলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর ধারণা।
এ ছাড়া কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু বলেন, “নৌকা প্রতীক না থাকলেও দলীয়ভাবে সাদ্দামের পক্ষেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে।”
পক্ষান্তরে সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রাসেল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমির হামজা জ্যোতিসহ কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাবেক দলীয় নেতাকর্মী সরাসরি কাজ করছেন বলে স্থানীয় নেতারা জানান।
দেওয়ান সাইদুর রহমান স্থানীয় সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থন পাচ্ছেন। তফসিল ঘোষণার আগে একাধিক অনুষ্ঠানে সাইদুরকে সমর্থন করে তিনি বক্তব্যও দিয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, “আমার বিগত সময়ের কাজ দেখে মানুষ আমাকে ভোট দেবে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। সব পর্যায়ের মানুষই আমার পাশে আছেন।”
উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের দলীয় অন্তর্কোন্দলের প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “টু পার্সেন্ট প্রভাব পরতে পারে। এটা কোনো বিষয় নয়। জাতীয় নির্বাচন হয়েছে দলীয় প্রতীকে। সে নির্বাচনে দুজন প্রার্থী ছিলেন, দুজনই সিঙ্গাইরের। জনগণ যাকে মন চাইছে ভোট দিয়েছে। এটা লোকাল নির্বাচন। এখানে ব্যক্তি সম্পর্ক ও আত্মীয় সম্পর্কের বিষয় থাকে।
“এখানে পারিবারিকভাবে অনেকের সঙ্গেই অনেকের আত্মীয়তার বিষয় থাকে। তাই জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে লোকাল নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে ব্যক্তি ও ব্যক্তি সম্পর্কটাই বড় বিষয়।”
এদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, “উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলীয় সব নেতাকর্মী ও আপামর জনতা আমার সঙ্গে আছেন। হরিরামপুরের মানুষ শান্তি চায়। শান্তির জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন। আমি ভোট প্রার্থনায় যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।”
নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কম সময়ের নয় দাবি করে তিনি বলেন, “আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্র রাজনীতিসহ দুইবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদধারী। এখনো আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করছি।”
দলীয় বিভেদের বিষয়ে বলেন, “দলীয় বেশিরভাগ নেতাকর্মী আমার সঙ্গে থাকায় গ্রুপিং রাজনীতি প্রভাব ফেলবে না।”
এদিকে, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের নেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের জাহিদুর রহমান তুষার নিভৃতেই কাজ করে চলেছেন। মাঠ পর্যায়েও সমর্থন রয়েছে তার। যদিও নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্র থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মিছিলও করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।
যদিও ভোটের মাঠে এর কোনো ‘প্রভাব পড়বে না’ বলে দাবি তুষারের।
সাধারণ জনগণ ও খেটে খাওয়া মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে দাবি করে জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, “দীর্ঘ ১৯ বছর একটানা বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা দিয়েছি। দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকায় উপজেলার সব ইউনিয়নের জনগণের সঙ্গে আমার একটা সুসম্পর্ক রয়েছে।”
নির্বাচন না করার জন্য চাপ ছিল জানিয়ে তুষার বলেন, “আমাকে জেলার নেতারা দলীয়ভাবে ডেকে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এখানে দুজন অর্থসমৃদ্ধ শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় মাঠ ছেড়ে দেইনি। কেননা যদি মাঠ ছেড়ে যাই, তাহলে জনগণ ভাবতে পারে, আমি টাকা খেয়ে বসে গেছি।
“মাঠ ছেড়ে দিলে আমার প্রতি জনগণের যে আস্থা ও ভালোবাসা আছে, তা আর থাকবে না। তাই আমি দলীয়ভাবে বহিষ্কার হলেও শক্তভাবে মাঠে আছি।”
দলীয় নেতাকর্মীদের মিছিল সম্পর্কে তুষার বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কয়েকজন মিছিলও করেছে। মূলত দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণেই আমার বহিষ্কার চেয়ে মিছিল করা হয়েছিল। যারা আমার বিরুদ্ধে বহিষ্কার চেয়ে মিছিল করছেন, তাদের অনেকেই কিন্তু এই নির্বাচনেই অন্য কোনো না কোনো প্রার্থীর পেছনে কাজ করছেন। এটাও কিন্তু আমি জানি।
“যারা টাকা খেয়ে অন্য প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে কাজ করছেন তারাও কিন্তু দলের বিভিন্ন পর্যায়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লিডিং পজিশনে দায়িত্বে আছেন।”
নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শামসুল ইসলাম বিপুল বলেন, “আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আমি। আমার দেশে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি দেশকে দিতে এসেছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।”
এদিকে, সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিম খান এবার চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরেক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, বিএনপিপন্থি বহিষ্কৃত নেতা মোশাররফ হোসেন মোসা, বিল্লাল হোসেন ও রবিউল ইসলাম রাজা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশি সরব রয়েছেন।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামিমা আক্তার চায়না, দুবারের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও জোৎস্না শিকদারের মধ্যে ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার সবুজ বলছেন, “আমি ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি৷ আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।”
ভোটাররা কী ভাবছেন
চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ভোটার সেলিমের ভাষ্য, “চরের মানুষ খেয়েপরে ভালো আছে। একটি হাসপাতাল দরকার। চরের মানুষের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুরের যোগাযোগ বেশি। তবে জাতীয় নির্বাচনের ভোট অর্ধাঅর্ধি হয়ে গেছে। এবার তুষারের নামও বেশ-শোনা যাচ্ছে।”
সুতালড়ি ইউনিয়নের ভোটার শামসুলের দাবি, “চরাঞ্চলের সুতালড়ির ভোট নদীর এপার-ওপার দুই পারেই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অনেকে সাদ্দামের পক্ষে কাজ করায় তিনি ভালো অবস্থানে আছেন। তবে সাইদুর দেওয়ানেরও ভোট আছে।”
চালা ইউনিয়নের ভোটার রকিব আলী বলেন, “চালা ইউনিয়নে সাইদুর দেওয়ান, সাদ্দাম হোসেন ও বিএনপির তুষারের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।”